খুলনার কয়রায় নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় হামলা, আহত ২ ছাত্রলীগ কর্মী


খুলনা -৬ (কয়রা -পাইকগাছা) আসনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করার জের ধরে ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের হামলায় পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে৷
আহতরা হলেন ঘুগরাকাটি গ্রামের আহসান সানার ছেলে আবির হোসেন (১৭) আবির চলমান এস এসসি পরিক্ষার্থী ও একই গ্রামের হাবিবুল্লাহ (১৮)। আহতরা বর্তমানে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এরা সবাই দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত আনুমানিক ৭ টায় উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ঘুগরাকাটি এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।
আহত আবির হোসেন ও হাবিবুল্লাহ জানান, তারা গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষের কর্মী ছিলেন। বিভিন্ন প্রচার প্রচারণায় অংশ নেয়াসহ নৌকার পক্ষের কর্মীদের তাদের বাড়িতে খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। নির্বাচনের শুরু থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করায় স্থানীয় ঈগল প্রতীকের লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
গতকাল রাতে মসজিদ থেকে বের হলেই আগে থেকে অতপেতে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবল সানার ছোট ছেলে নাঈমের নেতৃত্বে একই গ্রামের তুহিন মোড়ল, আবু হাসান, বাইজিদ মোড়ল, সিব্বির মোড়ল, তৈয়েবুর গাজি,মতিউর গাজিসহ ১০-১৫ জন লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়৷ এসময় ব্যাপক মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।তারা বলেন, নাঈম দীর্ঘদিন স্থানীয় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রেণর মাধ্যমের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ পরিচালনা করেন।
স্থানীয় ও আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে নাঈম হোসেন দীর্ঘ দিন এলাকায় মারামারি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন ও কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতরা কেন নৌকার নির্বাচন করলো এইটাই তাদের অপরাধ। এর আগে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এসময় আহতদের পরিবার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবল সানার ছেলে নাঈম হোসেন জানান,দলীয় কোন মারামারি হয়নি। আর আমি তাকে মারি নাই। আমি বরং সমাধানের চেষ্টা করি ২ পক্ষের মারামারি।
কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘুগরাকাটি যে ঘটনা ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলের গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন