খুলনা-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের জমজমাট প্রচারণা: সর্বত্র জনতার সাড়া

খুলনা-৬ (কয়রা–পাইকগাছা) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে ঘিরে এলাকায় বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী, স্থানীয় কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।

কয়রা-পাইকগাছার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে জনবহুল বাজার— প্রতিটি অলিগলি, মোড়, পথঘাটে টাঙানো হচ্ছে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। স্থানীয় জনসাধারণ ও সমর্থকদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ প্রচারণা আরও গতিশীল হয়ে উঠেছে।

কেউ গাছের ডালে উঠে পোস্টার টাঙাচ্ছেন, কেউ রিকশা, ভ্যান ভর্তি ফেস্টুন বিলাচ্ছেন, আবার কেউ দলবদ্ধভাবে ব্যানার হাতে প্রচারণায় যুক্ত হচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এবার তারা চান এলাকার উন্নয়ন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও জনবান্ধব নেতৃত্ব। সেই প্রত্যাশা থেকেই বহু মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। কর্মী-সমর্থকদের ভাষ্য—মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে বিজয়ী করে জাতীয় সংসদে কুরআন ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে শক্ত কণ্ঠস্বর গড়ে তুলতে তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর ভালোবাসা, পরিশ্রম আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনা-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রচারণা এখন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সমর্থকদের বিশ্বাস, খুলনা-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লার ঐতিহাসিক বিজয় আসবে।

এবিষয়ে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। যেখানে রয়েছে- সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা, আমানতদারিতা, ইহকাল ও পরকালের জবাবদিহিতা ও মানুষের কল্যাণ সাধন।

সমাজ নির্মাণের মূল শক্তি হলো সৎ চরিত্রবান মানুষ তৈরি, সঠিক নেতৃত্ব এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ। আমাদের সমাজে দরিদ্র, অসহায়, বৃদ্ধ এবং বঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষা করা ঈমানেরই দাবি। আগামীর বাংলাদেশে ইসলামি আদর্শে পরিচালিত সমাজে থাকবে ন্যায়বিচার—যেখানে প্রতিটি মানুষ তার হক পাবে, কেউ অবহেলিত বা বঞ্চিত হবে না। যুবসমাজকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকা নিশ্চিত করাই হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সমাজ পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হলো শুদ্ধ নীতি, সততা, জবাবদিহিতা এবং মানুষের সেবা করার মানসিকতা। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎ পথে থাকি, দুর্নীতি–অন্যায় থেকে দূরে থাকি, এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করি—তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।