খোলা চুলেই সৌদি আরবে মেলানিয়া
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে সৌদি আরবের আইনগুলো কঠোরহস্তে বাস্তবায়িত করা হয়। নিজ দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশী নারীদেরও দেশটিতে অবস্থানকালীন শরীয়া আইন মেনে চলতে হয়। হিজাব ছাড়া চলতে পারেন না কোনো বিদেশি নারি। সেই দেশেই এবার এলোকেশে পশ্চিমা পোশাকে হাজির হলেন ট্রাম্পের স্ত্রী মার্কিন ফার্স্ট লেডি ও সাবেক মডেল মেলানিয়া।
বিমান থেকে নেমেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সৌদি নেতাদের সঙ্গে। এখানেই শেষ নয়, করমর্দন করেন সৌদি বাদশাহর সঙ্গে। এ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দেশটিতে। প্রশ্নের ঝড় বয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মাথায় তার স্কার্ফ কোথায়? মেলানিয়া কালো আলখেল্লার মত পোশাকে সাজলেও স্কার্ফ মাথায় দেননি।
পুরো কালো পোশাকে তার প্রায় কব্জি পর্যন্ত ঢাকা। আর পায়ের দিকটা ঢলঢলে ট্রাউজার্সের মতো। কিন্তু গলার দিকে খোলা স্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সবাই। গলায় মোটা শেকলের মত সোনার হার। আর কোমরে বেশ চওড়া সোনালি বেল্ট। এ পোশাকেই সৌদি আরব সফর করেছেন মেলানিয়া।
প্যালেস পরিদর্শনের সময়ে তার ঝকমকে পশ্চিমা পোশাকও সমালোচকদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি।
অথচ এই ট্রাম্পই সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌদি আরব সফরের সময় ফার্স্ট লেডি মিশেলের মাথায় স্কার্ফ না দেয়ার সমালোচনা করেছিলেন। ঘটনাটি বছর দুয়েক আগেরই। সৌদি বাদশাহ আবদুল্লার মৃত্যুর পর সস্ত্রীক রিয়াদে গিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সে সময়ে স্কার্ফে মাথা ঢাকেননি মিশেল ওবামা। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশেল ওবামা-দম্পতির সমালোচনা করেছিলেন আজকের প্রেসিডেন্টই।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের ভোটের লড়াইয়ে নামার তখনও ছয়মাস বাকী ছিল ট্রাম্পের। তখন ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, স্কার্ফ ছাড়া সৌদি আরবে গিয়ে সে দেশের মানুষকেই অপমান করেছেন ফার্স্ট লেডি ওবামা। প্রথা-ভাঙায় শত্রুতাও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন