গণধর্ষণের পর স্ত্রীর গোপনাঙ্গ কেটে স্বামীর নিষ্ঠুরতা
কুমিল্লার মুরাদনর উপজেলার ধনিরামপুর এলাকার গোমতী নদীতে পাওয়া ক্ষত-বিক্ষত নারীর মরদেহ দেবিদ্বার উপজেলার বাঙ্গরী গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে আকলিমা আক্তারের (৩২)।
ময়নাতদন্তে বের হয়ে এসেছে তাকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে আকলিমার নাক, স্তন, গোপনাঙ্গ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ গোমতী নদীতে ফেলে দেয় স্বামী ও তার বন্ধুরা।
গত বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোমতী নদী থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আকলিমা বেগম দেবিদ্বার উপজেলার পৌর এলাকার পুরান বাজারের গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে রবিউল আউয়ালের স্ত্রী।
মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আকলিমা বেগমের অনুমতি ছাড়াই শিল্পী নামের এক নারীকে বিয়ে করে রবিউল। এরপর থেকে আকলিমার খোঁজখবর নিত না। নিজে চলার জন্য দেবিদ্বার স্কয়ার হাসপাতালে চাকরি নেয় আকলিমা। কিন্তু স্বামী রবিউল স্ত্রীর বেতনের টাকা নিয়ে যেত। শিল্পীকে নিয়ে সংসার করার পথের কাটা ছিল আকলিমা। পথের কাটা সরাতে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে আকলিমার নাক, স্তন ও গোপনাঙ্গ কেটে মরদেহ গোমতী নদীতে ফেলে দেয় স্বামী ও তার বন্ধুরা। এ বিষয়ে রবিউল আউয়ালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মুরাদনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদল জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে আকলিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তার স্বামী দেবিদ্বার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। চারদিন পর আকলিমার মরদেহ গোমতী নদীতে পাওয়া যায়। গণধর্ষণের পর তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করে মরদেহ নদীতে ফেলে স্বামী ও তার বন্ধুরা। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের ভাই নাসির উদ্দিন এ ঘটনায় আকলিমার স্বামীসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন