গণপিটুনিতে নিহতের লাশ ভাসিয়ে দেয়া হলো নদীতে!
চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের লাশ দাফন করতে না পেরে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নিহত হেলাল খাঁয়ের (৩০) দাফন করতে গেলে এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে নিহত হেলালের বাবা লাশ ভাসিয়ে দিতে বলেন।
খবর পেয়ে শনিবার পদ্মা নদীর পারের জাকেরের সুরা এলাকার একটি মাছের ঘেরে লাশ ভাসতে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চর হোসেনপুর গ্রামে অটোবাইক চোর সন্দেহে পিটুনিতে নিহত হয় হেলাল খাঁ (৩০)।
ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকালে তার লাশ গ্রহণ করে তার পরিবার।
নিহত হেলালের মা (মোসলেম খার দ্বিতীয় স্ত্রী) শুক্কুরী বেগম জানান, শুক্রবার তারা লাশটি থানা থেকে গ্রহণ করার পর জাকেরের সুরা এলাকার পদ্মা নদীর ভাঙ্গা মাথায় নিয়ে যায়। তখন ওই এলাকার অনেকে লাশ গন্ধ বলে নামাতে দেয়নি। অনেকে লাশটি ওই এলাকায় দাফন করা যাবে না বলে জানায়।
এ অবস্থায় হেলালের শোকার্ত বাবা মোসলেম তাদের বলেন, ‘স্থানীয়দের বললাম, আমার ছেলেকে দাফন করার জায়গা যখন মিললো না, তোমরা লাশ নদীতে ফেলে দাও।’
পরে এলাকার মাতবর শ্রেণির লোকেরা লাশটি নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবারের।
এদিকে খবর পেয়ে চরভদ্রাসন থানার এসআই আব্দুর রব, এসআই মো. সাইদুর ও হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুল বারী দিপু খান স্থানীয়দের সহযোগিতায় নদী থেকে বস্তাবন্দি লাশ তুলে আরজখার ডাঙ্গী এলাকার মৃধা বারী কবরস্থানে দাফন করে।
স্থানীয় জানায়, নিহতের বাবা মোসলেম ও মা শুক্কুরী বেগম এক বছর আগে জাকেরের সুরার কলকুঠিতে বসবাস করত।
চরভদ্রসন থানার ওসি রাম প্রসাদ ভক্ত জানান, ময়নাতদন্ত শেষে থানা থেকে নিহতের পরিবার লাশটি গ্রহণ করে নিয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন