গণবি শিক্ষার্থী দিবার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী শিক্ষার্থীদের

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সি এস ই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দিল আফরোজ দিবার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে দিবার স্বজন, সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রকৃতপক্ষে দিবার অকাল মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা , সাভার থানায় হত্যা মামলা গ্রহণ না করার ঘটনার প্রতিবাদে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দিবার মৃত্যুর পেছেনের সত্য ঘটনা সকলের সামনে নিয়ে আসার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনের মুখপাত্র মেহেদী হাসান জিহাদ। তিনি আরও বলেন, ‘দিবার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচীতে যাব। আমাদের আর কোন বোন কে যেন দিবার মত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়’।
জানা যায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সি এস ই বিভাগের শিক্ষার্থী দিল আফরোজ দিবার ২০১৬ সালের মে মাসে সাভারের সবুজবাগ এলাকার সাদিকুর রহমানের ছেলে ফিরোজ কবীরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিবা ও ফিরোজ আলাদা বাসা নিয়ে থাকত। দিবার পড়াশোনার সমস্ত খরচ দিবার বাবা চালালেও সম্প্রতি তৃতীয় বর্ষ ফাইনাল পরিক্ষার ফর্ম ফিলআপ করতে বাধা দিচ্ছিল দিবার স্বামী ফিরোজ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে বলেও জানান দিবার সহপাঠীরা।
দিবার বোন সাদিয়া জান্নাত জানান, ‘ আমার বোন কে হত্যা করা হয়েছে। আপুকে প্রায়ই মারধোর করত ফিরোজ’। দিবাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করলে হাত ঝুলে থাকে। কিন্তু আপুর হাত বাঁকা হয়ে ছিল। তার গায়ে কালো কালো দাগ। শরীর কালো হয়ে গেছে। বুকে চাপ লাগার দাগ।’

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা আলীর সাথে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিয়ে কথা বলতে চাইলে দিবার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি অপমৃত্যুই সন্দেহের উদ্রেগ করে। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা করা হয়েছে কিনা তা বিবেচনায় আনা দরকার। দিবার হত্যা ঘটে থাকলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবী জানাচ্ছি’।
উল্লেখ্য ফিরোজের বাবা সাদিকুর রহমান শনিবার দুপুর একটায় দিবার বাবা দেলোয়ার হোসেন কে ফোন করে দিবা আত্মহত্যা করেছে বলে জানান। কিন্তু দিবার বাবা প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করে আসছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















