গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ইস্যুকৃত ১১ সনদ ভুয়া

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে ইস্যুকৃত ১১টি সনদপত্র ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস। ২২ ব্যক্তির সনদ নিয়ে সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস যাচাই বাছাই শেষে (১৯ জুলাই) বুধবার ১১টি সনদপত্র ভুয়া বলে চিহ্নিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী জানান, গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে অধিক হারে সুযোগ পাওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু সার্টিফিকেট প্রদান কারবারি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে ভুয়া সনদপত্র তৈরি করে কয়েকজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে। সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস অ্যানহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) দেশের ৬৪ জেলার ৬৪ উপজেলায় নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাস টিচার বিষয়ক একটি কর্মসূচি ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাংকের সম্মতিক্রমে বাস্তবায়ন করে আসছে।

পদায়নকৃত অতিরিক্ত ক্লাস টিচারদের পরীক্ষা পাশের মূল সনদ যাচাই বাছাইয়ে তিন সদস্যের একটি দল ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে আসে।

প্রতিনিধিদলটি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ইস্যুকৃত ২২টি সনদপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলীর নিকট উপস্থাপন করেন। তিনি সব কাগজপত্র যাচাই করে ২২টির মধ্যে ১১টি সনদপত্র ভুয়া বলে চিহ্নিত করেন।

ভুয়া সনদপত্র নামধারীরা হলেন মো. মিলান আহমেদ ফেরদৌসি, সাবিনা ইয়ানমিন সোমা, শারমিন আক্তার, মিনারা আক্তার, মো. রাজিব উল তারেক, খুশবুল জান্নাত, মো. সামিউল হক, মো. আসাদুজ্জামান, সামিরা সিদ্দিকা, আমিনুল ইসলাম এবং এ কে এম শাহিদুল হক। এরা সবাই জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং এদের ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটে প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদতত্ত্ব বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দুটি কোর্স পড়ানো হয় না বলেও জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু।

সেকেন্ডারি এডুকেশান কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস অ্যানহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) জুনিয়র কনসালটেন্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দুই ধরনের সার্টিফিকেট এবং একই সময়ের মধ্যে ইস্যুকৃত সনদপত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর ভিন্ন হওয়ায় তাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এ জন্য বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণাপন্ন হন। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করায় ভুয়া সনদপত্র প্রদান করায় ওই ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে সেকায়েপ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী।