গভীর রাতে খাবার নিয়ে ক্ষুধার্তদের খোঁজে ছুটছে একদল যুবক

রহমতের সাত রমজান রাত প্রায় ৩টা, একটি ভ্যান গাড়িতে সাসপেনে খাবার নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে একদল যুবক। করোনার ভয়াবহতার, লকডাউনে এ সময়ে গভীর রাতে এরা কারা এমন প্রশ্ন যেকোন মানুষের জাগতে পারে ।

প্রশ্ন করা হলে সাসপেনে খাবার নিয়ে আসা আরমান ও মামুন জানান, সেহেরী করোনার ভয়াবহতার মধ্যে লকডাউন, মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে, অনেকে না খেয়ে রোজা রাখছে। রোজাদারদের জন্য সেহেরী দেয়া হচ্ছে। দিনাজপুর শহরের পাহাড় পুর ইউনুস আলীর পুত্র ইমরান অস্ট্রেলিয়া থেকে করোনার মধ্যে অসহায় দুস্ত রোজাদারদের রোজা রাখার জন্য অর্থ দিচ্ছেন। সেই অর্থ দিয়ে ভাত ও তরকারি দেয়া হচ্ছে প্রতিদিন। ভাতের সাথে কোনোদিন মাছ। কোনদিন মাংস ও কোন দিন ডিম দেয়া হচ্ছে। সাথে রয়েছে ডাল ও ভাজি।

অস্ট্রেলিয়া থেকে টাকা পাঠান ইমরান আর দিনাজপুরে ইমরানের ম্যানেজার সোহেল আহমেদ ও চাচাতো ভাই মামুনের তত্ত¡াবধানে আরমান, সেন্টু , মইনুল সহ একদল যুবক রাত দুটোয় ভ্যানগাড়িতে সাসপেন্ড করে সেহেরী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রোজাদারদের খোজে।

বদরগঞ্জে আযহার আলি জানালেন, এটি বিশেষ কাজে বদরগঞ্জ থেকে দিনাজপুরে এসেছিলেন লকডাউনে সব বন্ধ। স্টেশনে অপেক্ষা করছি। ট্রেন নেই। পানি খেয়ে রোজা রাখতে হবে, এ সময় হঠাৎ করেই ভ্যানগাড়িতে সেহেরী। আল্লাহর নেয়ামত এসে গেছে।

চিরিরবন্দরের জাফর আলী, ঠাকুরগাঁয়ের আনিসুর একই কথা জানালেন। সেহেরী পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এসব ক্ষুধার্ত মানুষ। মামুন জানান, ৩০ রমজান পর্যন্ত রাতে সেহেরী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরে এটাই প্রথম গভীর রাতে সেহরি বিতরণ এর ঘটনা। এবারের লকডাউনে এবার সরকারি ও বেসরকারি কেউই কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি।