গরীব কৃষকের সন্তান থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি!
গরীব কৃষকের সন্তান থেকে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী! এক হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি বললে ভূল হবে না। কারণ তিনি বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় সিংহভাগ সমর্থন তার দিকেই! শুধু ঘোষণা বাকি!
তবে তার যাত্রাপথটা খুব একটা সহজ ছিল না। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ সাফল্যের অন্যতম শিখরে বিরাজ করছেন দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিবিদ মুপ্পাভারাপু বেঙ্কাইয়া নাইডু।
১৯৪৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলার চাভাতাপালেমে জন্মগ্রহণ করেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। দশ বছর বয়সে আরএসএস-এর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হন। ১৯৭২ সালে জয় অন্ধ্র আন্দোলনে নেতা হিসেবে তার রাজ্য রাজনীতিতে উত্থান।
১৯৭৩ সালে ছাত্রনেতা হিসেবে এবিভিপিতে যোগ দেন। পরে অন্ধ্র ইউনিভার্সিটি কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলযাত্রা। ১৯৭৭-১৯৮০ সাল পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের জনতা দলের যুবমোর্চার সভাপতির দায়িত্ব সামলান।
এরপর থেকে আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনৈতিক জীবনে একের পর এক মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ির অনুষ্ঠানের ঘোষক থেকে বিধায়ক, মুখপাত্র, সাংসদ, দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রিত্ব একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ দায়িত্বের সঙ্গে সামলেছেন বেঙ্কাইয়া।
এহেন একজনকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দলকে। গতকালই বিজেপির সংসদীয় বোর্ড ওই পদের জন্য তাকে বেছে নেয়। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক দলগুলিও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
১৯৮৮ সালে কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা থেকে পরপর দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন বেঙ্কাইয়া। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০০-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান তিনি।
১৯৯৬-২০০০ পর্যন্ত তিনি বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র, কৃষি, অর্থ, গ্রামোন্নয়ন, বিদেশ প্রভৃতি মন্ত্রনালয় সামলান তিনি। ২০০৬ সালে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে চতুর্থবারের জন্য রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।
এসবের পাশাপাশি বেঙ্কাইয়া একজন সুচারু বক্তা। শুধু তাই নয়, বরাবর তিনি বিরোধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে তাই তিনি স্বাভাবিক পছন্দ বিজেপির।
যদি উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন, তাহলে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, ভি ভি গিরির পর বেঙ্কাইয়া নাইডু তৃতীয় তেলুগু ব্যক্তিত্ব যিনি এত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ সামলাবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন