গরুর শিং থাকবে কিনা- রোববারের গণভোটেই সেই রায়

সুইজারল্যান্ডে যেসব কৃষক গরু ও ছাগলের শিং প্রাকৃতিকভাবে বাড়তে সুযোগ দেয়, তাদের ভর্তুকি দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

মূলত গরুর শিং ছেটে ফেলা হবে, নাকি বাড়তে দেয়া হবে তা নিয়ে দেশটি নাগরিকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাই জাতীয় গুরুত্বের বিবেচনায় এ গণভোটের আয়োজন।

গবাদিপশুর মর্যাদা সুরক্ষার এই গণভোটের উদ্যোগের সূত্রপাত করেছেন ৬৬ বছর বয়সী কৃষক আরমিন ক্যাপোল। পশুর অধিকার রক্ষার পক্ষে নিজেকে একজন বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করেছেন তিনি নিজেকে।

তিনি বলেন, শিংওয়ালা গবাদিপশুর চারণভূমির জন্য নগদ অর্থ আদায়ে গত নয় বছর ধরে প্রচার চালিয়েছেন। এতে পশুর শিং ছেটে ফেলার প্রবণতা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

আরমিন বলেন, গরুর প্রাকৃতিক অবয়বকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। তাদের শিংকে বাড়তে দিতে হবে। যখনই আপনি তাদের দিকে তাকাবেন, দেখবেন তখন তারা মাথা উঁচু করে রাখে। এটাই তাদের গর্ব। তাদের শিং ছেটে ফেললে তারা কষ্ট পায়।

সুইজারল্যান্ডের বেশিরভাগ গরুর মাথায় শিং দেখা যায় না। বাছুর অবস্থায় গরুর শিং গজানোর সময়েই বিশেষ উপায়ে সেটি পুড়িয়ে বা কেটে ফেলা হয়, যাতে তা আর বাড়তে না পারে।

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

আরমিনের বক্তব্যের সঙ্গে যারা একমত, তারা কেউই প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্ত গরুর রূপ বদলে ফেলার পক্ষে নয়। এই ঘটনা গরুদের মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করে তোলে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এই অবস্থায় গরুর শিং থাকবে কি না— সেই বিতর্কের অবসান ঘটাতে রোববার একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

গরুর শিং কাটার বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে বেশ কয়েক লাখ গরুপ্রেমীর সই জোগাড় করে ফেলেছেন আরমিন ও তার দলবল। এ দিকে জোট বাঁধছে গরুর শিং কেটে ফেলার সমর্থকেরাও।

কী হবে রবিবারের ভোটে? মতামত জরিপ বলছে, লড়াই কঠিন! যদিও এই নির্বাচনে কোনও সরকারি সিলমোহর পড়েনি, তবুও গরুপ্রেমীরা যদি জয়লাভ করে, তবে সরকারের ওপরেও যে চাপ তৈরি হবে, তা বলাই বাহুল্য।

অভিনব এই ভোটযুদ্ধে কে জেতে, সেটাই এখন দেখার।

শিং দিয়ে গরু যোগাযোগ ও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই প্রতিটি শিংওয়ালা গরুর জন্য কৃষককে বছরে ১৯০ সুইসি ফ্রাংক ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানান আরমিন।