গর্ভধারণের চেষ্টায় চার যুগ! তারপর…
একটা সন্তানের আশায় মানুষ অনেক কিছুই তো করেন। স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে ছুটোছুটি করেন স্বামীরা। অনেকে বিশ্বাস থেকে কবিরাজ বা ঝাড়ফুঁকেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু এই নারীর প্রচেষ্টা আর অপেক্ষার কাছে বোধহয় অন্যদের চেষ্টা-তদবির কিছুই না! প্রায় চার যুগ পেরিয়েছে, সন্তান নেয়ার চেষ্টা কখনও থেকে থাকেনি এই নারীর!
বিয়েরও প্রায় চার যুগ হয়ে গেছে। আকোসুয়া বুদু আমোয়াকো এবং তার স্বামী বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গর্ভধারণ সম্ভব হচ্ছিল না তার। সময় তো আর থেমে থাকে না। দেখতে দেখতে বুড়িয়ে যাচ্ছেন দুজন। গর্ভের উর্বরতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে সুখবরটি এলো। ৫৯ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিলেন আমোয়াকো।
নিউ ইয়র্কের নিসকেউনার বেলভ্যু ওমেন্স সেন্টারে ৭ পাউন্ড ৪ আউন্স ওজনের সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দেন তিনি। বাবার নামের সঙ্গে মিল রেখে তার নাম রাখা হয়েছে আইসাইয়াহ সমুয়াহ আনিম।
সন্তান নেওয়ার জন্য তাদের এই সংগ্রাম রীতিমতো খবরের শিরোনাম হয়েছে। যার হাতে ডেলিভারি হয়েছে সেই ড. খুশুরু ইরানি জানান, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সুদীর্ঘ সময়ের পর এমনটা পেয়ে দম্পতি যারপরনাই খুশি।
বুদু জানান, তার স্বামীরও বয়স ৫৯ চলছে। তারা থাকেন শেনেকটাডিতে। সেই কবে বিয়ে করেছি আমরা। বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেওয়ার চেষ্টা শুরু করি। কিন্তু প্রায় চার যুগে কোনো সম্ভাবনা দেখা দেয়নি। কিন্তু এতদিন পর হঠাৎ করেই আমি গর্ভধারণ করতে সমর্থ হই।
প্রায় আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন দুজন। কিন্তু তাদের উদ্যমে জোয়ার আনে একটি খবর। তারা জানতে পারেন, দুজনের আসল দেশ ঘানাতে উর্বরতা চিকিৎসা নেওয়ার পর ৬০ বছর বয়সী এক নারী সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। আবারো প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন তারা।
ইরানি নিশ্চিত করেছেন, এই বয়সে সন্তান জন্মদানের কারণে মা কিংবা শিশুর কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। দুজনই খুব ভালো আছেন।
গর্ভধারণের জন্যে বহু খরচ করেছেন দম্পতি। ফার্টিলিটি চিকিৎসার জন্য বছরে ২০ হাজার ডলার করে লাগতো। এটা বড় কথা নয়। বড় কথাটা হলো, ৪ যুগ ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রায় অসম্ভব বিষয়। সবাই তাই বলছেন। সূত্র : এমিরেটস
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন