গাইবান্ধায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের সংকট নিরসনে স্বতন্ত্র পরীক্ষা হল নির্মাণসহ ৮ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে বুধবার অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতি কলি রানী বর্মনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাস, কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বসুনিয়া, অর্থনীতি বিভাগের সংগঠক জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি ২ হাজার ২৪৯টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজ রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে যেসকল সংকট তৈরি হয়েছে তার কোনটারই সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত পদক্ষেপ সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। ২০১০ সালে গ্রেডিং সিস্টেম চালু এবং ২০১৫ সালে সেশনজট নিরসনের নামে “ক্রাশ প্রোগ্রাম” চালু করা হয়। ক্লাস না নিয়ে, সিলেবাস শেষ না করে, তড়িঘড়ির মাধ্যমে বছর বছর পরীক্ষা নেয়া “ক্রাশ প্রোগ্রাম ” মূলত শিক্ষার মানকেই ক্রাশ করেছে। ফলে বেড়েছে ড্রপ আউট হওয়ার হার, বেসরকারি কলেজ থেকে অর্নাস কোর্স তুলে দেয়ায় উচ্চ শিক্ষা সংকোচন ঘঠবে। আমাদের সংগঠনের দাবি বেসরকারি কলেজ থেকে অর্নাস কোর্স তুলে দেয়া যাবে না, বরং সেখানে উপযুক্ত আয়োজন নিশ্চিত করে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে ক্লাসরুম সংকট তীব্র মাত্রায় রয়েছে। যেমন আনন্দ মোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে মাত্র ২ টি ক্লাসরুম আছে। অন্য বিভাগগুলোর অবস্থা একই। ক্রাশ প্রোগ্রাম এর নামে ক্লাস না করিয়েই দ্রæত পরীক্ষা নেয়া হয়। সারা বছর ধরে অর্নাস, মাস্টার্স ও ডিগ্রীর পরীক্ষার কারণে ক্লাস বন্ধ থাকে। ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আবার সরকারি ছুটিসহ বিভিন্ন সময় কলেজ বন্ধ থাকে। ফলে বছরে ৬০/৬৫ দিনের বেশি ক্লাস হয় না। করোনা সংক্রমণের পূর্বে যতটুকুও ক্লাস হতো এখন সেটা আরও কমেছে। করোনার পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কলেজে ক্লাসের নতুন রুটিন প্রণয়ন করেছে। সেখানে সপ্তাহে একটি বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য এক বা দু’দিন নেয়া হয়। ফলে ক্লাসের সংখ্যা আগের চেয়ে আরও কমেছে।