গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় সামান্য বৃষ্টিতে মহাসড়কে হাঁটু পানি, চরম ভোগান্তি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানিতে মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনসহ সাধারণ জনগণের। শহরে চলমান সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের সময় বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কের ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কারণে দীর্ঘদিন যাবত গোবিন্দগঞ্জ শহরে কোন সংস্কার করা হয়নি। যে কারণে শহর এলাকায় মহাসড়কে খানা খন্দকগুলো বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।

তার উপর শহরের বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করায় বৃষ্টিতে এই স্থানে কাদা পানি ও রাবিস মহাসড়কের ওপর চলে আসায় প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতেই এই গর্তে পানি জমে ছোট ছোট ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে মহাসড়কে গাড়ি চলে ধীরগতি হচ্ছে। মাঝে মাঝে খানাখন্দক ও গর্তের মধ্যে ভাঙা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

ঢাকা রংপুর মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে শত শত বাস, ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার, মাইক্রো, সিএনজি, অটো রিকশাসহ বিভিন্ন রকম যানবাহন। সড়কের এ বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, চালকসহ এলাকাবাসীকে। মাঝে মধ্যে ট্রাক, সিএনজি, অটো উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের পান্থাপাড়া দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের সামনে, হাজী ক্লিনিকের সামনে, কৃষি ব্যাংকের সামনে, সোনালী ব্যাংকের সামনে, কল্পনা সুপার মার্কেটের সামনে, বনফুল হোটেলের সামনে, হাইস্কুল মার্কেটের সামনে, রাজমতি মার্কেটের সামনে, জাহানারা মার্কেটের সামনে, সোনালী ব্যাংকের সামনে, রহমানিয়া আবাসিক হোটেলের সামনে সহ প্রায় ২ কি.মি. এলাকা জুড়ে বৃষ্টির কারণে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে।

কৃষি ব্যাংক ও হাইস্কুল মার্কেটের সামনে সবচেয়ে বেশি খানা খন্দকে পরিণত হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাস চালক আফছার আলী বলেন, গোবিন্দগঞ্জ শহরের ভিতর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দকের কারণে বাস চালাতে সমস্যা হয়। ধীর গতিতে গর্তের পাশ দিয়ে একে বেকে গাড়ি চালাতে হয়। এতে করে চলাচলে সময় বেশি লাগছে।

অটোচালক ধলু মিয়া বলেন, খানা খন্দক ও উঁচু-নিচুর কারণে অটো চালাতে কষ্ট হয় এবং প্রায়ই অটোর স্প্রিং ভেঙে যাচ্ছে। সপ্তাহে ২/৩ বার এগুলো সারাতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো ঘটছেই। দ্রুত গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানা খন্দকগুলো সংস্কার করে যান চলাচলে সুবিধা করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সচেতন মহলের।