গাইবান্ধার চরাঞ্চলে ভুট্টার বাম্পার ফলন
চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের কৃষকরা অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। আর এই ভুট্টার ওপরে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্ন দেখেন দূর্গম চরের কৃষকরা। সম্প্রতি স্বপ্নের এই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষক-শ্রমিকরা।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার খাটিয়ামারী-কড়াইবাড়ী চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক-শ্রমিকদের ভুট্টা কাটা ও মাড়াইয়ের চিত্র। এসময় কেউবা হারভেস্টার মেশিনে ভুট্টার মোচা ফেলে দানা বের করছিলেন। আবার অনেকে দানাগুলো রোদে শুকাতে ব্যস্ত ছিলেন।
জানা যায়, বালুচরে তরমুজ, বাদাম ও মরিচ ফসলের পাশাপাশি ভুট্টা আবাদ করে এখানকার কৃষকরা। বিশেষ করে ভুট্টা ফসলের ওপরেই নির্ভশীল তারা। বছরে দুই দফায় ভুট্টা ফসল ঘরে তুলে থাকেন। এটি বিক্রি করে পরিবার-পরিজনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন চরাঞ্চলের কৃষক-শ্রমিকরা।
কৃষক খাদেম আলী বলেন, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি। এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ ভুট্টা পেয়েছি। এতে খরচ হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ শুকনো ভুট্টা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। ফলে আমি অনেক খুশি।
আরেক কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ভুট্টা অত্যন্ত লাভজনক ফসল। বাপ-দাদার আমল থেকে ভুট্টা আবাদ করেই সংসার চালাচ্ছি। তবে আগের অভিজ্ঞতায় ভুট্টার চাষাবাদ করে আসছি। এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকতার সহায়তা কিংবা পরামর্শ পাইনি। তাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো চরাঞ্চলের কৃষকরা আরো লাভবান হতে পারতো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্যানুসারে গাইবান্ধা জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন