গাইবান্ধার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন হলেও বাজার মন্দা
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রতিবছরই শত-শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। রোদে শুকানোর পর এই মরিচ হাট-বাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এসব চরাঞ্চলগুলোতে এবছরও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দেশে করোনাকালীন পরিস্থিতি এবং মৌসুম সময়ে বাজারে পাকা ও শুকনো মরিচের মূল্য কম থাকায় বাজার অনেকটাই মন্দা যাচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭১০ হেক্টর। এরমধ্যে জেলার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
মরিচ চাষি ও ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের সময়ে হাট-বাজারগুলোতে পাকা ও শুকনো মরিচের চাহিদা এবং ক্রেতা কম থাকায় মূল্য অপেক্ষাকৃত কম। সেইসাথে করোনাকালে নানা বিধি-নিষেধে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মরিচের বাজার অনেকটাই মন্দা।
চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতিমণ শুকনো মরিচ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হারে বিক্রয় হচ্ছে। অথচ গত বছর মৌসুম সময়ে প্রতিমণ শুকনো মরিচের মূল্য ছিল ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার ২শ’ টাকা। মূল্য কম থাকায় চাষিরা মরিচ বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না।
এদিকে সংরক্ষণাগার না থাকায় পাকা এবং শুকনো মরিচ নিয়ে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন তারা। ফলে দরিদ্র চাষিরা স্বল্প মূল্যে মরিচ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন