গাইবান্ধার চাঁদপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান দুর্ঘটনার আশঙ্কা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছারিতা, দুর্নীতি, শ্রেণি সংকট এবং জরাজীর্ন ভবনে পাঠদান, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নিয়োগদানসহ এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, চাঁদপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর মানসম্মত লেখাপড়া হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে জরাজীর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ওই ভবনেই শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ৭শ’র বেশী শিক্ষার্থী থাকলেও একবছরের ব্যবধানে বর্তমানে তা কমে ৫৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে করে এলাকার অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
গত ২০২২ সালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. তাহেদুল ইসলাম রকেট ও প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের যোগসাজসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন করে একজন সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশী নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ঘর ভাড়া দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে দোকান ঘরের মাসিক ভাড়া মাসের পর মাস বকেয়া কথা বলা হলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন অন্য কথা।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারীর পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারীর পদে লোক নিয়োগ করা হবে। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাগজপত্র সভাপতি নিজেই করে থাকেন।
আমার কাছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নোটিশ নেই। তবে সভাপতি সাহেবের কাছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ফাইলটি তার হেফাজতে রয়েছে। সভাপতি সাহেবে মুঠোফোনে জানান- গাইবান্ধার শহরের স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করার জন্য রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে আসা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন