গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রতিবন্ধীর জমির দলিলসহ স্বর্ণালংকার লুটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ডাকুনী গ্রামের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবন্ধীকে বেঁধে রেখে জমির দলিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী মো. শহীদ মোজাফ্ফর হাসান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ডাকুনী গ্রামের প্রতিবন্ধীকে বেঁধে রেখে জমির দলিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিসিনপত্র লুট করার বিষয়ে আমি আমার সহোদর ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলসহ বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।

প্রতিপক্ষ লিটন আলী গংরা পারিবারিক-সামাজিক ভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতেই থানায় মিথ্যা মামলা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগসহ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা লিটন গং’দের এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ লিটন মন্ডলসহ অন্যান্য ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

থানায় অভিযোগের আলোকে জানা যায়, ১নং বিবাদী লিটন মন্ডল গং’দের সাথে পূর্ব হতে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনদের জমা-জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বিবাদী লিটন কাছ হতে গত ২১/০৪/২০১৩ সালে দলিল নং-১৯১০ মুলে একটি পুকুর ও পাড়ের গাছসহ কবলা করি। কিন্ত গত ০৩/০৬/২০২৩ সালে পুকুর পাড়ে আম পাড়িতে গেলে লিটন বাঁধা দেয়। গত ২২/০৪/১৯৬৯ তারিখের দলিল নং-৩৮০ দলিল মুল্যে আমার বাবা ও জ্যাঠা ৩২ শতক জমি কবলা করে। রেকর্ডের সময় আমার জ্যাঠা দলিল বের করলে উভয়ের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়।

কিন্তু আমার জ্যাঠাতো ভাই লিটনের বাবার মৃত্যু হলে দলিলটা গোপন করে। ১নং বিবাদী লিটনের পিতার অংশের জমি তার বাবাই বিক্রি করে যায়। এ নিয়ে গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে শালিস দরবারও হলেও গ্রাম্য মাতব্বর আঃ হামিদ আকন্দসহ অন্যান্যরা আমাদের যৌথ জমির দলিল গুলো পড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও গত ১৭/১০/২০২১ সালে ৫৪৪৪ নং দলিল মূলে ১নং বিবাদী লিটন মন্ডলের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। অন্যান্য ডাকুনী মৌজা ছাড়াও বেড়ামালঞ্চ মৌজা হতে লিটনের বাবার নিকট হতে আমার বাবা জমি ক্রয় করে। বেড়ামালঞ্চ মৌজার জমিতে আমাদের চাতাল, রাইস মেইল, চারটি গোডাউন, পুকুরসহ অনেক গাছপালা রয়েছে। ১নং বিবাদী লিটন ডায়াবেটিক, হার্ড, কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাই যেকোন অঘটন ঘটিয়ে আমাদের ফাঁসাতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমার বাবা এবং জ্যাঠার যৌথ দলিল গুলো উদ্ধারসহ ভূক্তভোগী পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তার নিমিত্তে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় আমার সহোদর ভাই কামরুজ্জামান শামীম, হাসান আজিজুল ইসলাম সোফেল, রায়হান হাবিব রয়েন ও আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।