গাইবান্ধার ফুলছড়িতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে (৩ ডিসেম্বর) রাতে ফুলছড়ি সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়।
ওই যুদ্ধে কাবেজ আলী, আফজাল হোসেন, বাদল, ওসমান গনি ও সোবহানসহ ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেখানে শহীদ হন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা ওই রাতে শহীদদের মরদেহ পার্শ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দাফন করেন।
(৪ ডিসেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফুলছড়ি সদর দখল করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ওই শহীদ ৫ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন নামকরণ করা হয়। ৫ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ উপলক্ষে আজ রোববার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের ধনারূহা গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদদের সমাধীতে ফুলের পাপড়ি প্রদান ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন, জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
এ উপলক্ষে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ধনারূহা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লে· চত্বরে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো, সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, যুদ্ধকালিন কমান্ডারের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এসএম শামসিল আরেফিন টিটু, সাধারণ সম্পাদক নাছিরুল আলম স্বপন, মুক্তিনগর ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লায়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহবুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হুদা দুদু, মনিরা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন