গাইবান্ধার সাঘাটায় চাঞ্চল্যকর পুতুল রানী হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক

গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর শ্রীমতি পুতুল রানী হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী শ্রী রুপেন দাশ (৩৪) ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার। গ্রেফতারকৃত রুপেন দাশ সাঘাটা উপজেলার বোনারপারার ১নং গেইট রেলকলোনী গ্রামের খোঁকা দাশের পুত্র।

সোমবার (২২ এপ্রিল) গাইবান্ধা র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরম্নদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা এবং র‌্যাব-১০, সদর কোমপানী, কেরাণীগঞ্জ এর যৌথ অভিযানে গত রোববার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় শ্রীমতি পুতুল রানী হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী শ্রী রম্নপেন দাশকে কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাঘাটা থানায় আনহয় করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উজেলার রাজাহার ইউনিয়নের ধুতুর বাড়ী দোঘরিয়া গ্রামের স্বর্গীয় বিশ্বনাথ মেয়ে ভিকটিম শ্রীমতি পুতুল রানী (৩২) এর সাথে আনুমানিক ১৫/১৬ বছর পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী শ্রী রুপেন দাশের বিয়ে হয়।

তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের অভাব অনুটনের কারনে উভয়েই ঢাকা গার্মেন্টসে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৯ এপ্রিল ভিকটিম ও আসামী তাদের গ্রামের বাড়ীতে আসে। গত ১১ এপ্রিল রাত্রী আনুমানিক ৪টায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়।

এরই একপর্যায়ে আসামী রম্নপেন দাশ (৩৪) ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজসহ এলোপাথারী মারধর করে। এসময় ভিকটিম প্রতিবাদ করলে আসামীর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটের মাঝখানে আঘাত করে গুরুত্ব রক্তাক্ত কাটা জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যু বরণ করেন।

এ ঘটনায়, ভিকটিমের ভাই শ্রী-রবিন দাশ (৩৫) বাদী হয়ে গত ১৫ এপ্রিল সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৭।