গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে ৪ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম, এক মহিলা আটক
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীর কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষর্থীরা
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জান্নাতী আকতার (২১) নামে বহিরাগত এক নারী হঠাৎ করে ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর কক্ষে ঢুকে এই ঘটনা ঘটায়।
আহতদের মধ্যে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের রেজানুর রহমানের মেয়ে সেতু খাতুন (১৩), একই ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে মিতু খাতুন (১৪) ও একই ইউনিয়নের আরজী জামালপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে (১৩) সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত সুমনা ও তাপসীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
আটক জান্নাতী আকতার উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী।
আহত সেতু খাতুন জানায়, ক্লাস শুরু আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোরকা পরিহিত এক মহিলা হঠাৎ তাদের শ্রেণী কক্ষে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগে তার পেটে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় সে হাত দিয়ে ছুরিটি ধরে ফেলে। এতে করে তার বাম হাত কেটে যায়।
এরপর এলোপাথারীভাবে আরোও ৪ জন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে। আহত মিতু খাতুন জানায়, এরপর ওই মহিলা আমার পিঠে ছুরিকাঘাত করে। আহত রাবেয়া খাতুন জানায়, তার দুই পায়ের উরু ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে ওই মহিলা।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খন্দকার আব্দুল্যা হেল আল মামুন জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে হৈ চৈ শুনে শিক্ষক-কর্মচারীরা ষষ্ঠ শ্রেণীর কক্ষের দিকে এগিয়ে দেখে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীর কক্ষে হুরাহুরি করে বের হয়ে আসছে। এর মধ্যে চার-পাঁচজন শিক্ষার্থী শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে। তিনি আরও জানান, পরে তারা শ্রেণী কক্ষে ঢুকে ওই মহিলাকে দেখতে পান। তখন তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহীনুল ইসলাম মন্ডল জানান, আহত তিন শিক্ষার্থী এখন শঙ্কা মুক্ত। তবে তারা খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তার কাছে একটি দেশীয় ধারালো একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথীমক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী একেক সময় একেক কথা বলছে। তবে তার পরিবারের লোকজন ওই নারীকে মানুষিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন