গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ও পলাশবাড়ীতে ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত গত দুই দিনের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। সরকারি ভাবে ঘরবাড়ির পরিমান ২৪৬টি নিধারন করা হলেও বেসরকারি ভাবে এর পরিমান অনেক বেশি।

জানা গেছে, গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটির পৌরসভার উপর দিয়ে প্রবাহিত বছরের প্রথম কালবৈশাখী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় কমপক্ষে পাঁচশত ঘরবাড়ি, দোকান পাট এবং ৫ হাজার ছোট বড় গাছপালা ভেঙে গেছে। উপজেলার তারাপুর ও বেলকা ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দৃুই দিনের ঝড়ো হাওয়ায় ২৪৬ ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ৩৬০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বেসরকারি ভাবে এর পরিমান অনেক বেশি।

উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে একশত ঘরবাড়ি এবং এক হাজার গাছপালা ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়নি। তবে তালিকা পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বনকর্মকর্তা খন্দকার হেমহেদী হাসান জানান, গত দুই দিনের ঝড়ো হাওয়ায় কমপক্ষে দুই হাজার গাছপালা ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, দুই দিনের ঝড়ো হাওয়ায় প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে তা জেলায় পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মৌসুমী ঝড়ে বসতবাড়ির উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় ৪ পরিবারের ৭টি বসতঘরের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৌসুমী ঝড়ে এ ক্ষতিসাধন হয়।

এসময় ওই গ্রামের গোলাপ মিয়ার ৪টি ঘর ও মেহেদুল ইসলামের ২টি ঘরসহ আসবাসপত্র, সিরাজুল ইসলামের বসতবাড়ীর প্রাচীর এবং নুরুল ইসলামের ১টি ঘরসহ আসবাসপত্রের ক্ষয়সাধন হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অত্র ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পরিদর্শন কালে পরিবারগুলোকে সম্ভাব্য সহযোগিতা দানের আশ্বাস প্রদান করেছেন বলে জানা যায়।

এদিকে; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জীবন-যাপন স্বাভাবিক করতে সরকারি সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান অপেক্ষমান রয়েছে।