গাইবান্ধায় তৃতীয় দিনের অভিযানেও কিছুই পায়নি পুলিশ


গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে অভিযান চালিয়ে আজও কিছুই পায়নি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান চালান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ ও সাঘাটা থানা পুলিশের প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হকের নেতৃত্বে চরবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দিসহ আশেপাশের চরগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু বলেন, আমরা সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরগুলোতে ব্লক রেইড (নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে) দিয়ে অভিযান চালিয়েছি। নদীতে পানি বেশি থাকায় চরগুলোতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অভিযানে কোনো জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, নৌ ডাকাতি প্রতিরোধ, এবং জঙ্গিদের তৎপরতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং মানুষকে সচেতন করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু ও সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের কযেকটি চরে অভিযান চালিয়ে একজন ডাকাতকে আটক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে অভিযান চালিয়ে কিছুই পায়নি তারা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন