গাইবান্ধায় পুনঃখননে যৌবন ফিরে পাচ্ছে সাঘাটার বাঙ্গালী নদী
পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকট আর পর্যাপ্ত খনন কাজ না হওয়ায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বাঙ্গালী নদীতে নৌ-চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যহত হচ্ছে কৃষি কাজ, কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে সেচ কাজে ব্যবহৃত পানির তীব্র সংকট। এরফলে অর্থনৈতিকভাবেও চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ জনপদের মানুষ। সেই বাঙ্গালী নদীর পুন:যৌবন আর স্রোতধারা ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করা হয়েছে পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ।
জানা যায়, নদী সিস্টেম ড্রেজিং বা পুন:খননসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সাঘাটার বাঙ্গালী নদী পুন:খনন ও নদীর অন্যান্য কাজ সম্পাদনে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের ১৮ নং প্যাকেজে গাইবান্ধার সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়ার সোনাতলা পর্যন্ত ১১-২৪ কিলোমিটার ড্রেজিং ও ব্লক স্থাপনসহ আরও অন্যান্য কাজ করা হবে।
এরআগে প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে একটি রেকি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙ্গালী নদীর পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হলে ভাঙনের তীব্রতা হ্রাস পাবে। নিশ্চিত হবে নাব্যতা। অবাধে চলাচল করতে পারবে নৌ-যানসহ মালবাহী জাহাজগুলো। একই সঙ্গে রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রান্তীক সেক্টরে উন্নয়ন সংগঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
নদীপাড়ের বাসিন্দা হাবিবুর ও মশিউর বলেন, এখন পর্যন্ত পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে করা হচ্ছে। এভাবে সম্পন্ন হলে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। সেই সঙ্গে আর্থ- সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে।
এ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাদল মিয়া ও তানজিমুল ইসলাম তুষার বলেন, কাজটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ নং প্যাকেজের এ কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, মরা বাঙ্গালী নদীর পুণ: খনন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাবে ও নাব্যতা সংকট দূর হবে।
এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এটিএম রেজাউর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সহযোগীতা পেলে নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন