গাছ রোপণ লালমনিরহাটের ‘নাঈমের’ নেশা
“ছোটবেলা থেকে গাছ রোপণ করতে আমার খুব ভালো লাগে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমি বইয়ের ও ইন্টারনেটে জানতে পাই সেখান থেকে অনুপ্রানিত হই।
পরিবারের দেওয়া হাত খরচের টাকায় গাছ রোপনের কার্যক্রম শুরু করি।” কথা গুলো বলছিলেন, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম রহমান। তার বাড়ি সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকায়।
জানাগেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা নাঈম রহমানকে ভাবিয়ে তোলে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শুরু করেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে মানুষকে সচেতন করা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। এ পর্যন্ত দশ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সচেতনতার বার্তা, বিভিন্ন সড়ক, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সড়কে তিন হাজারের বেশিগাছ লাগিয়েছেন। নাঈম রহমানের উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলা ব্যাপী পর্যায়ক্রমে একলক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী শুরু করেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মাঝে ফলজ ও ঔষধি চারা বিতরণ করেছেন।
নাঈম রহমান বলেন, আমার বন্ধুরা বা পরিচিত যে কেউ আমার কাছে গাছ চাইলে তাদের কাছে সাইকেলে করে গাছ পৌঁছে দিয়ে আসি। এ জন্য কেউ কেউ আমাকে গাছের ফেরিওয়ালা, বৃক্ষবন্ধুও বলে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে আমার রোপণ করা গাছগুলোর পরিচর্যা করি। আমি অনুভব করি, গাছগুলো আমাকে দেখে হাসে, তখন আমার ভালো লাগে। করোনা মহামারিতে পৃথিবী বুঝতে পেয়েছে অক্সিজেন আমাদের কতটা প্রয়োজন।
মানুষ সব বুঝেও বিনা কারণে অবাধে গাছ কাটে। গাছে পেরেক ঠুকে পোস্টার মারে। আমি গাছের কান্না শুনতে পাই। এমন চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়তে বাড়তে আমরা একদিন সমুদ্রের গর্ভে হারিয়ে যাব। আগামীর শিশু যেন বুক ভরে বিশুদ্ধ নিশ্বাস নিতে পারে, সেই প্রত্যয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল পর্যায় শিক্ষার্থীদের মানবিক কাজের চর্চার মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। গঠন করতে চাই মানবিক বাংলাদেশ। স্বপ্ন দেখি দেশের প্রতিটি জেলার তরুণরা একযোগে কাজ করবে। সে কোন সমস্যায় সবার আগে তরুণরাই এগিয়ে আসবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন