জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র


গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোট কে অমানবিক উল্লেখ করে দেশটির কড়া সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সংগঠনটি বলছে, ওয়াশিংটনের ভোট পদক্ষেপ অনৈতিক ও অমানবিক।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজজাত এল-রেশিক বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি অংশ নিল। এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্থাপিত প্রস্তাবটির সহপৃষ্ঠপোষক ছিল অন্তত ৯৭টি দেশ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলা হয়েছিল।১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়।
প্রস্তাব আটকের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেন, প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।
তবে গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এর ফলে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
গাজা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভিয়েরে। তিনি বলেন, গাজায় সংঘটিত মানবিক দুর্যোগের বিষয়ে ফ্রান্স অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
অবশ্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে ইসরাইলের পাশে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটি। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের দূত গিলাদ এরদান টুইট (বর্তমান এক্স) করে এ ধন্যবাদ জানান।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন