গাবতলীতে লম্বা লাইন, টিকিট সংকট
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানী থেকে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি দূর করতে আজ থেকে শুরু হয়েছে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। কিন্তু সে টিকিট সংগ্রহেই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে টিকিটপ্রত্যাশীদের।
অধিকাংশ মানুষকেই চাহিদা মতো টিকিট না পেয়ে হতাশ হতে হয়েছে। বেশিরভাগ বাসের ৩১ আগস্টের টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। অন্যান্য দিনের টিকিটের অধিকাংশ বিক্রি হয়ে গেছে অনলাইনে। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদা মতো টিকিট মিলছে না বেশির ভাগ মানুষের।
শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর ও টেকনিক্যাল বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। তবে নির্দিষ্ট সময়ে সকাল থেকে বিভিন্ন বাস কাউন্টারের নির্ধারিত স্থানে বিক্রি শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট।
টিকিট বিক্রির বিষয়ে হানিফ পরিবহনের বিক্রয়কর্মী মইনুল বলেন, ‘সবাইকে তাদের পছন্দ মতো টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বরের বাসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে এই দুই দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য দিনের টিকিটও অধিকাংশ অনলাইনে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা বাড়তি টাকা ছাড়াই টিকিট বিক্রি করছি। যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঈদের আগে অতিরিক্ত কোচ যোগ করা হবে।’
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ বশির হোসেন বলেন, ‘আজ থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টিরও বেশি রুটে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তাই রাত থেকেই এ টার্মিনালের বাস কাউন্টারগুলোর সামনে অনেক যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
গাবতলীতে টিকিট সংগ্রহ করা মোহাম্মদ রায়হান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, তিনি ৩১ আগস্টের চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেন মাত্র দুটি টিকিট।
টিকিট সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়ানো জাফর হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে টিকিট সংকট রয়েছে। টিকিটের জন্য সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। খুলনার ৩০ তারিখের টিকিট পাব কি না তা নিয়ে টেনশনে আছি।’ এ ছাড়া টিকিট কাটার সময় বারবার বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন