গিনেস রেকর্ডে স্থান পেল ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রপ ফিল্ড হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। এর দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। সর্বশেষ ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।

মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের কৃষিখাত ও কৃষিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য এ শিল্পকর্ম সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়। এটির অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার প্রাইভেট কোম্পানি।

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ বিশাল কর্মযজ্ঞটি উদ্বোধন করেন।

সে সময় বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি বগুড়ায় শস্যচিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) ফুটিয়ে তুলতে ধান রোপণ শুরু হয়। এখন চারা বড় হয়ে উঠছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) ফুটে উঠছে। ১২০ বিঘা জমিতে বিশাল এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানচিত্রে জাতির পিতাকে আরো একবার দেখবে পুরো জাতি, যা বিশ্বের বুকেও হবে নতুন ইতিহাস।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যেহেতু একজন কৃষকবান্ধব নেতা ছিলেন, তাই জন্মশতবার্ষিকীতে উদারচিত্তে বাঙালি জাতি তাকে স্মরণ করতে বিশাল এই শিল্পকর্ম তৈরি করছে।

এছাড়া ওই সময় ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল বলেন, বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ১০০ শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সদস্যরা শুকনো জমিতে প্রায় এক হাজার ২০০ খুঁটি পুঁতে প্রতিকৃতিটির লে-আউট করেছে।

তিনি আরো বলেন, গত ডিসেম্বরে প্রকল্পটির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা গত ২৯ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন। ধানের চারা বড় হওয়ায় এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফুটে উঠেছে।

১০০ বিঘা ধানের জমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি : বগুড়ায় ১০০ বিঘা জমিতে দুই ধরণের ব্যতিক্রমী ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, যা অন্তর্ভুক্ত হবে গিনেস বুকে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, এটা শুধু গিনেস বুকে বাংলার নাম লেখা নয়, বাংলার বুকে জাতির পিতাকে যেন চিরতরে লেখা থাকে সেটাই লক্ষ্য। এটাই শেষ নয়, এখান থেকে শুরু সমানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গিনেস বুকে নাম লেখা হচ্ছে। এটি নতুনভাবে ইতিহাসে সৃষ্টি হচ্ছে। এ থেকে কৃষক উজ্জীবিত হবে।

তিনি জানান, শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করার জন্য নীল ও সোনালী রংয়ের দুই ধরনের ধান বেছে নেয়া হয়েছে। ১০০ বিএনসিসি সদস্যের নিয়ে জমিও তৈরি করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার এ ধানের চারা রোপণ হবে।

শস্যচিত্রটি আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন রেকর্ড তৈরি করে উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রের আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট, এর দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০০মিটার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রসহ অনেকেই।

বগুড়ায় শস্যচিত্রে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর ছবি : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ১২০ বিঘা জমিতে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শস্যচিত্রের মাধ্যমে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। এই শিল্পকর্মটি পরিপূর্ণ হলে ঠাঁই পাবে গিনেস বুকে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে চীন থেকে আনা বেগুনি ও সবুজ রঙের জনকরাজ জাতের ধানের চারা রোপণ করার কার্যক্রম গত ২৯ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। এরপর টানা ১-১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় ১৪০ জন নারী শ্রমিক ধানের চারা রোপণ করেন। এই চারা এখন বড় হয়ে উঠছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিও (ছবি) দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। আর এ প্রতিকৃতি পুরোপুরি দৃশ্যমান হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। এর দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার, যা হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। সর্বশেষ ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।

মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের কৃষিখাত ও কৃষিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য এ শিল্পকর্ম সৃষ্টির উদ্যোগ নেয় হয়। এটির অর্থায়ন করছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার প্রাইভেট কোম্পানি।

গত ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এই বিশাল কর্মযজ্ঞটি উদ্বোধন করেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি বগুড়ায় শস্যচিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) ফুটিয়ে তুলতে ধান রোপণ শুরু হয়। এখন চারা বড় হয়ে উঠছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) ফুটে উঠছে। ১২০ বিঘা জমিতে বিশাল এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানচিত্রে জাতির পিতাকে আরো একবার দেখবে পুরো জাতি, যা বিশ্বের বুকেও হবে নতুন ইতিহাস।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যেহেতু একজন কৃষকবান্ধব নেতা ছিলেন, তাই জন্মশতবার্ষিকীতে উদারচিত্তে বাঙালি জাতি তাকে স্মরণ করতে বিশাল এই শিল্পকর্ম তৈরি করছে। পাশাপাশি এই শস্যচিত্রটি যাতে গিনেস বুকে জায়গা করে নিতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। গিনেস কর্তৃপক্ষের সব শর্ত মেনে এই শিল্পকর্মটি করা হচ্ছে। শস্যচিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এরই মধ্যে ফুটে উঠতে শুরু করেছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমির চন্দ বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশাল কর্মযজ্ঞটি আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে উদ্বোধন করা হতে পারে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতেই শস্যচিত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল বলেন, বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ১০০ শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সদস্যরা শুকনো জমিতে প্রায় এক হাজার ২০০ খুঁটি পুঁতে প্রতিকৃতিটির লে-আউট করেছে।

তিনি আরো বলেন, গত ডিসেম্বরে প্রকল্পটির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা গত ২৯ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন। ধানের চারা বড় হওয়ায় এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফুটে উঠেছে।