গুগল ডুডল দেখে কী বললেন নুহাশ?

হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মবার্ষিকীতে ভক্তদের পাশাপাশি ছেলে নুহাশ হুমায়ূনকে চমকে দিয়েছে গুগল। সার্চ ইঞ্জিনটির হোম পেজে দেখা যাচ্ছে হুমায়ূনকে নিয়ে তৈরি গুগল ডুডল।
.
গুগলের এমন উপহার খুবই মুগ্ধ নুহাশ। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘অসাধারণ! আমার কান্না চলে আসছে।’

গুগল ডুডলে দেখা যাচ্ছে বাগানে বই হাতে বসে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। সামনের টেবিলে টি পট ও দুটি কাপ। পাশে একটি খালি চেয়ার। সে দিকেই এগিয়ে আসছে হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমু। আর চারপাশে প্রকৃতির আবহ দিয়ে সাজানো হয়েছে ইংরেজি গুগল লেখাটি।

এদিকে হুমায়ূনের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হচ্ছে নানা আয়োজন। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কাটেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, সন্তান নিষাদ ও নিনিত। এছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রকাশকরা রেখেছে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জুর রহমান আহমদ ও মা আয়েশা ফয়েজ।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকদের অন্যতম হুমায়ূন আহমেদ। তিনি একাধারে উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও নির্মাতা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তার বেশ কিছু বই নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলী চরিত্র দুটি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণিকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা।

হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত টেলিভিশন নাটকগুলো ছিল সর্বাধিক দর্শক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশি না হলেও তার রচিত গানও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। লেখালেখি ও চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে এক পর্যায়ে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।

হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হুমায়ূনের অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসা নিতে যুক্তরাষ্ট্র যান। সেখানেই ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ২৪ জুলাই তাকে নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় দাফন করা হয়।