গুচ্ছ নিয়ে জবির সিদ্ধান্ত হবে একাডেমিক কাউন্সিলে
সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠক ভালো হয়েছে। যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে ছিল তারা সবাই আসছে। আমরা আলোচনা করেছি- গত দুই বছরের পরীক্ষার আলোকে কীভাবে আরও ভালোভাবে পরীক্ষা আয়োজন করা যায়- তা নিয়ে কথা হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে সভায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের ডাকা হয়।
তবে আজও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। সভায় শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, গুচ্ছে জবি থাকছে কিনা তা সিদ্ধান্ত হবে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে। জবি প্রশাসন যদি একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয় তবে গুচ্ছে থাকবে। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আগামী ২মার্চ তারিখ সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন