গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে: জাহিদ হোসেন

অপশাসনকালে ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সাত শতাধিক মানুষকে গুম করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, এই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার কী ধরনের শাসন করেছিল দেশের মানুষ জানে। শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মী নয়, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষার্থীদের গুম করেছে। সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও ছাড় দেয়নি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, আয়নাঘর নামক বস্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন এসেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী প্রজন্ম ইতিহাস পড়ে জানতে পারবে আয়নাঘর আওয়ামী লীগের নতুন স্বপ্ন। দলটি বাংলাদেশকে এমন অনেক নতুন স্বপ্ন উপহার দিয়েছে। কালোবাজারি, ভোট ডাকাতি, লুটপাট, জনগণের সম্পদ কীভাবে দখল করতে হয় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে দলের নেতাকর্মীরা।’

গুম হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের দেশের প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। জুলাই ও আগস্ট বিপ্লবে অকুতোভয় ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারকে পালিয়ে যাওয়ার গণঅভুত্থ্যানের সূচনা করেছে। ১৬ বছরে বিএনপিসহ ছাত্র-জনতার অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। লাখের ওপরে মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। সবশেষ দেড় মাসে ৫-৭ হাজার লোক পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অসংখ্য ছাত্র-জনতা।

পার্শ্ববর্তী দেশের মানব সৃষ্ট বন্যা দেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলকে তলিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষতি হয়েছে জানমালের, সম্পদের, গবাদি পশুর। বাড়িঘর ভেঙে-ভেসে আশ্রয়হীন হয়েছে অনেকে। তবে আশার কথা হলো পানি কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বিএনপি সবসময় মানুষের পাশে ছিল, থাকবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে বানভাসিদের মাঝে ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ হোসেন।

এ সময় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা তাইফুল ইসলাম টিপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।