গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের গভীর রাতে নির্যাতন
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুষার হোসাইনকে পুলিশ পরিচয়ে মধ্যরাতে ভাড়া বাসায় এসে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তনিমা পারভীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশের পোশাক পরিহিত একজনসহ সিভিল ড্রেসে একাধিক সদস্য বাসায় প্রবেশ করে এসে তাকে বিনা কারণে গালিগালাজ এবং বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি তার স্ত্রীকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার জন্য দরজা- জানালায় আঘাত করেছেন। সরেজমিনে দরজা ও জানালা ভঙ্গুর অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদ্বয় আতঙ্কিত রয়েছেন বলে জানান এবং আজ (২২ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিরাপত্তা প্রদান ও ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে লিখিত প্রদান করেছেন নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, “আমাকে জানানোর পর আমি থানায় যোগাযোগ করেছি। পুলিশ বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে”।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনিছুর রহমান উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “গতকাল গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে দুইপক্ষের ভিতরে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় রিফাত নামে একজন কে ধরার জন্য পুলিশ রাতে অভিযানে যায়। রিফাত ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদ্বয় নিচ তলায় থাকতো। পুলিশ এটা জানতো না, এজন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন (বিকাল৪ টা) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে লোকজন ও শিক্ষার্থী থানাতে আছেন তাদের সাথে এবিষয়ে কথা চলছে”।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন