গোপালগঞ্জ পৌরবাসীকে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে মেয়র রকিবের শুভেচ্ছা
‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত।’ আজ বসন্তের প্রথম দিন এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। ভালোবাসা আর বসন্ত মিলে আনন্দ ও উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি সহ সারাবিশ্ব। শীতের জরাজীর্ণতা শেষে রুক্ষ প্রকৃতি ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। পহেলা ফাগুনে বাতাসে কোকিলের মিষ্টি কলতানে উন্মাদ চারিদিক। ফুলেল বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখরিত নব ধরা।
এমনই মনোমুগ্ধকর উচ্ছ্বসিত মাহেন্দ্রক্ষণে গোপালগঞ্জ পৌরবাসীসহ দেশবাসীকে পহেলা বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পৌরপিতা মেয়র শেখ রকিব হোসেন।
মেয়র রকিব বলেন, ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে বসন্ত উৎসব উদযাপন বাঙালি জাতীয় জীবনের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতির মতোই বাঙালি জীবনের শিল্প-সাহিত্য, রাজনীতিতেও বসন্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এই বসন্তে সংঘটিত হয়েছিলো। কচি পাতায় আলোর ঝলকানির মতোই বাঙালির মনেও লাগে বসন্তের দোলা। উৎসবে মেতে ওঠে নগরবাসী। বসন্তে শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বসন্ত শুধু প্রকৃতিকেই রঙিন করেনি, আবহমানকাল ধরে বাঙালির মন ও প্রাণকেও রঙিন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা দিবসের পেছনে রয়েছে হৃদয়বিদারক এক আত্মদানের গল্প। রোমান সম্রাট ২য় ক্লডিয়াসের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে তার অধীনস্থ সন্তু ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসাকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। ভ্যালেন্টাইন তবুও ভালোবাসেন কারারক্ষীর নিষ্পাপ মেয়েটিকে। কিছুদিন পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্রাটের নির্দেশে ভ্যালেন্টাইনকে শিরশ্ছেদ করা হয়। শিরশ্ছেদের দিন ভ্যালেন্টাইন তার প্রেয়সীকে চিঠিতে প্রথম ভালোবাসার কথা জানান। পোপ সেন্ট জেলাসি ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে ‘ভ্যালেন্টাইন দিবস’ ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৭০০ বছর পরে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি উদযাপিত হতে থাকে। চীন, জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয়। মানব হৃদয়ের অফুরন্ত ভালোবাসাকে অমলিন রাখতে একজন অন্যজনকে ফুল, কার্ড কিংবা চকোলেট দিয়ে ভালোবাসা জানান।
শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে পৌরবাসীর প্রতি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে হৃদয় নিংড়ানো একরাশ প্রীতি ও ভালোবাসা রইলো। বেঁচে থাকুক মায়া, মমতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা হাজার বছর ধরে মানবের হৃদয়ে আমৃত্যু ভালোবাসা ও মায়ার বন্ধনে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনে সকলকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন