গোপালগঞ্জ পৌরসভার মানবিক কাউন্সিলর নাজমুল হাসান নাজিম
গোপালগঞ্জ পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নসহ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে সাধারণ জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন টানা ৩ বার নির্বাচিত মানবিক কাউন্সিলর মো: নাজমুল হাসান (নাজিম)।
ইতোমধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার চিত্র। সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে পৌরবাসীর জীবনমান। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ, রাস্তাঘাট পাকা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও শহর দূষণ রোধ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্মুখ সারিতে কাজ করছেন টানা ৩ বার নির্বাচিত ৯নং ওয়ার্ডের ডায়নামিক কাউন্সিলর মো: নাজমুল হাসান (নাজিম)।
চলতি বছরের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটে গোপালগঞ্জ সদরের ৯নং ওয়ার্ডে তৃতীয় ধাপে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালে মানুষের ভালোবাসা এবং অনুপ্রেরণায় কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়ী হয়ে পৌরবাসীর খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর ২০১৬ সালে এবং ২০২২ সালে পুনরায় কাউন্সিলর হন। একই সাথে কাউন্সিলর নাজমুল হাসান নাজিম গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
সূত্র মতে, কাউন্সিলর নাজমুল হাসান নাজিমের সার্বিক দিকনির্দেশনায় পৌরসভার মাধ্যমে ওয়ার্ডে বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রতিনিয়ত কাউন্সিলিং, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ওয়ারেশ সনদপত্র, নাগরিক সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যু সনদপত্র, অভিভাবকের আয়ের সনদ, জিআরসি সেলের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে জনগণকে সেবা সম্পর্কে অবগত ও সহায়তা করা, প্রতিটি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সমন্বয় কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি, সিবিও এবং স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে জনগণকে সেবা চলমান রয়েছে। এছাড়া গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে এলাকার সৃষ্ট জমি-জমা ও কোর্ট থেকে আসা কেসের নথি এবং অন্যান্য বিরোধ মীমাংসা সহ আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন গরীবের বন্ধু নানন্দিক এ কাউন্সিলর।
সরজমিনে জানা গেছে, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জ পৌরসভার বৃহৎ ৯নং ওয়ার্ডকে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ার কাজ করছেন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত জিআর চাল, নগদ অর্থ প্রদান, গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত, শীতবস্ত্র, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে নারীদের স্বাবলম্বী করতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং হতদরিদ্রের চিকিৎসা সেবা, কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ, প্রটেকশান ওয়াল, আরসিসি রাস্তা, হাট-বাজার সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মন্দির, শ্মশান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন কাউন্সিলর নাজমুল হাসান নাজিম। শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বহুমুখী উন্নয়নে তার গুরুত্ব অপরিসীম। মৌলিক চাহিদা বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণে তার অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়।’
কাউন্সিলর নাজমুল হাসান নাজিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পূণ্যভূমিতে স্বাধীনতার স্থপতির অসমাপ্ত কাজ সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে রাত-দিন কাজ করছি। জনবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব, আলোকিত এবং পৌরবাসীর উন্নত অবকাঠামোগত নাগরিক জীবন গড়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এবিষয়ে পৌরবাসী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা ও আর্শীবাদ কামনা করছি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন