গৌরবের দুই দশক পেরিয়ে বশেমুরবিপ্রবি
দুই দশক পেরিয়ে ২১ বছরে পা রেখেছে গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ২০০১ সালের ৮ জুলাই বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমি, মধুমতি তীরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. একিউএম মাহবুব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। তাছাড়া নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি দিবসটি।
বশেমুরবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, ভিসির শুভেচ্ছা বার্তা ও আলোচনা সভা।
সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ১০.৩০ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড একিউএম মাহবুব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করে বলেন, বাঙালী জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক মুক্তি, দারিদ্র বিমোচন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের মর্যাদা সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে যুগোপযোগী জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে মানবিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মহান লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বশেমুরবিপ্রবি। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আরও মানসম্মত ও বিশ্বমানের গবেষণা, প্রকাশনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক ভাবমূর্তির উন্নয়ন, প্রতিটি স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকরী ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা গবেষণায় দেশ ও জাতির উন্নয়নে বশেমুরবিপ্রবি বিশেষ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে এই প্রত্যয়ে এগিয়ে যাক প্রাণের প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া, সকল প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামীতে সব সমস্যার উত্তরণ ঘটিয়ে এগিয়ে যাবে, আলোকিত করবে দেশ ও জাতিকে এই প্রত্যাশা ও শুভ কামনা ব্যক্ত করে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
সবশেষে বিকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভিসি ড একিউএম মাহবুব এর সভাপতিত্বে অনলাইনে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
প্রায় ৫৫ একর আয়তনের নিজস্ব ক্যাম্পাসে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৪টি অনুষদে ৫ বিভাগের মোট ১৬০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বশেমুরবিপ্রবি। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠে ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যেখানে শিক্ষক আছেন ২৮২, কর্মকর্তা ৯২ ও কর্মচারী ২৭২ জন। ৩৪ টি বিভাগ, ৭ টি অনুষদ ও ৩ টি ইন্সটিটিউট রয়েছে।
২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন পাশ হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গোবরাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ২০০১ সালের ২১ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক প্রকল্প স্থগিত ঘোষণা করা হয় এবং ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার।
২০০৯ সালের নভেম্বরে স্থগিত প্রকল্পটি পুনরায় চালু হয় এবং ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসআরও জারি করে। ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ক্যাম্পাস ও একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন হয় ১৯ জানুয়ারি ২০১৩ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম ভিসি ছিলেন প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন