গৌরীপুরে চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারে দাবিতে বিক্ষোভ-স্মারকলিপি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি’র অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও জনতা।

পরে জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, আবেদন পেয়েছি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরপরে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি গৌরীপুর থানায় কমপ্লেক্সে যায়। সেখানে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর্জা মাযহারুল আনোয়ারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে নিশ্চিত করেন।

অপসারণের দাবিতে স্বাক্ষর করেন রামগোপালপুর ইউনিয়নে পরিষদের মেম্বার মো. মনঞ্জুরুল হক, মো. কালা চান, মো. নবীজুল হক, মো. রফিকুল ইসলাম রোকন, মোছা. মালা বেগম, মো. নূরুল ইসলাম ফকির, হোসনে আরা বেগম, শাহানাজ পারভীন।

অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ (ভিপি ফারুক), কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য জালাল আহমেদ, উত্তর জেলা যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক মিলন, শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, খায়রুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মো. জাইদুল ইসলাম, এরশাদ আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, ২০জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার যে লড়াইয়ে ৩জন শহিদ হয়েছেন, সেখানে জনিও ছিলো। সে হত্যা মামলারও আসামী।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনির নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিগত ৩টি অর্থবৎসরে নামে-বেনামে প্রকল্প দিয়ে কোটি টাকা লুট করেছেন।