ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসতে পারেন তিনি
‘হাসতে নাকি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই? এই শোনো না কত হাসির খবর বলে যাই।’ ছোটবেলায় আমরা সবাই কমবেশি এ ছড়া পড়েছি। কিন্তু বাস্তব জীবনে সত্যি সত্যি হাসির চর্চা আমরা কতজনই বা করি!
অথচ আমরা হাসির অভ্যাস না করলেও কেউ কেউ ঠিকই করেন। এত বেশি যে একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি অনায়াসে হেসে যেতে পারেন। হাসিকে নিয়ে যান শিল্পের পর্যায়ে। অট্টহাসি, খিলখিল হাসি, মুচকি হাসি কত বাহারের যে হাসি থাকে তাঁর ঝুলিতে। এমনই একজন ‘বিশ্ব হাসি-মাস্টার’ ইথিওপিয়ার বেলাচো গারমা। আক্ষরিক অর্থেই তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা হাসতে পারেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক ভিডিওচিত্রে দেখা মেলে এই হাসির মাস্টারের। ভিডিওতে তাঁর হাসি দেখলে যে কেউ খিলখিল করে হাসতে শুরু করবেন। বেলাচো মনে করেন, সুস্থ আর সুখী জীবনযাপনের জন্য সবার হাসা উচিত।
ভিডিওচিত্রটির শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেলাচো বলেন, “আমরা সবাই হাসিমুখ দেখতে ভালোবাসি। আর আমি হলাম ‘বিশ্ব হাসি-মাস্টার’।”
‘হাসি, ভালোবাসা, শান্তি’ এই হলো বেলাচোর দর্শন। মন প্রফুল্ল রাখতেই শুধু হাসা উচিত তা নয়, শরীর ভালো রাখতেও তা দরকার। এ প্রসঙ্গে হাসির মাস্টার বলেন, ‘গবেষণায় প্রমাণিত যে, যখন আমরা হাসি, আমাদের শরীর ব্যথানাশক এন্ডরফিন উৎপাদন করতে থাকে। এটি জেনে সুস্থ আর দীর্ঘ জীবনের আশায় আমি হাসার অভ্যাস করতে থাকি।’
পৃথিবীতে হাসি আর ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে উপলব্ধি করে বেলাচো বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হাসিকে ব্যবহার করি, তাহলে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব।’
নিজের মুখে সব সময় হাসি ঝুলিয়ে রেখে সবাইকে হাসির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন বেলাচো গারমা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন