ঘিওরে নারীকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় সমবায়ভিত্তিক দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের (মিল্ক ভিটা) সীমানার ভেতরে রেণু রানি ডোম (৪৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার তরা এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রেণুর স্বামীর নাম সুধীর হরিজন। তিনি মিল্ক ভিটায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। তাঁদের চার ছেলে ও এক মেয়ে।

সুধীর হরিজন ডোম জানান, স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি মিল্ক ভিটার পরিত্যক্ত একটি ভবনে থাকেন। তাঁর স্ত্রী সদর উপজেলার গিলন্ড বাজারে ঝাড়ুদারের কাজ করতেন। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ওই বাজারে তিনি কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল ছয়টার দিকে কাজে যাওয়ার জন্য রেণু বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুপুরে বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজনসহ হাসপাতালে তাঁর খোঁজ নেন পরিবারের লোকজন। কোথাও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সকাল সাতটার দিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভিটায় রেণুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, লাশের গায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া গলায় দাগও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই নারীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শারীরিক পরীক্ষার পরই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করারও প্রস্তুতি চলছে।

মিল্ক ভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক এনামুল হক বলেন, সুধীর হরিজন প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। প্রতিষ্ঠানের সীমানার ভেতরে পরিত্যক্ত একটি ভবনে স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন।