ঘুমের বড়ি না খেলে হয় না???
ইচ্ছেনদী’র মেঘলা নামেই এখন তাকে চেনেন বাংলা টেলিভিশনের দর্শকরা। রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতীর উদাহরণটা তার সঙ্গে বেশ ভালো মানায়। সুন্দরী, মিষ্টভাষী সোলাঙ্কি রায় মেগা ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেনদী’র একটি মুখ্য চরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মেঘলা ওরফে সোলাঙ্কি রায় এবার নয়া ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। এমন গুজব রটেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে। সোলাঙ্কি নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের সঙ্গী সাক্যর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন সোলাঙ্কি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই সোলাঙ্কি-সাক্যর বিয়ে হয়ে যেতে পারে।
সাক্য বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা। বিয়ের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে খুব শিগগিরই পাকা কথা হয়ে যাবে বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।
মিডিয়া সূত্রের খবর, বিয়ের কথা সোলাঙ্কি স্বীকার করলেও এখনই এ নিয়ে বেশি মুখ খুলতে চাচ্ছেন না তিনি। পাশাপাশি সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, আগে পড়াশোনা করতে চান তিনি।
তবে টেলিভিশনকে চিরতরে বিদায় জানাবেন কি-না সে বিষয়ে বললেন, এখনও ঠিক জানি না। আমার বাবা-মা, সাক্যর বাবা মা, আমি, সাক্য একসঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আগামী সেপ্টেম্বরে আমি পড়াশোনার জন্য নিউজিল্যান্ড যাচ্ছি। তারপর বুঝতে পারব যে, আমি নিউজিল্যান্ডেই সেটল হব নাকি আবার দেশে ফিরে আসব।
সোলাঙ্কি বলেন, আমি কোনোদিন অভিনয়ের অ-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না। নাচটা করতাম ছোটবেলা থেকেই। স্কুল-কলেজে যেমন সবাই করে, আর পাঁচজনের মতো, সেরকমই টুকটাক ছিল। প্রথম সিরিয়ালের আগে একটা ওয়র্কশপ হয়েছিল বটে কিন্তু পুরোটা কাজ করতে করতে শেখা। আর এই শেখাটা পুরোটাই কিন্তু আমার কো-অ্যাক্টরদের সঙ্গে। আই হ্যাভ গট সাম ওয়ান্ডারফুল কো-অ্যাক্টরস উইথ মি।
‘আমার আগের সিরিয়ালেও, এই সিরিয়ালেও অসম্ভব ভাো কয়েকজন সিনিয়ারকে পেয়েছি। ‘কথা দিলাম’-এ মন্টুদা মানে সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়কে পেয়েছি, চৈতী ঘোষালকে পেয়েছি আবার এখানে লাবুদি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, নীলদা… অ্যান্ড দে হ্যাভ হেল্পড মি আ লট। এখনও শেখাটা একেবারেই এবিসিডি লেভেলে আছে, প্রত্যেকদিনই শিখি আমার ডিরেক্টরের থেকে, কো-অ্যাক্টরদের থেকে।বলতে পারো আমি খুব লাকি!’
পড়াশোনা সোলাঙ্কির পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে। গ্র্যাজুয়েশনের পর মাস্টার্স করেছি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তখন যাদবপুরে সবে মাস্টার্স কমপ্লিট করে এমফিল-এর এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছি। ক্যাম্পাসেই বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলাম, তখনই একজন ভদ্রলোক এসে বললেন ইটিভি-তে একটা শো আসছে, ওরা লিড খুঁজছে। উনি জিজ্ঞাসা করলেন আমি ইন্টারেস্টেড কি-না। তারপর আমি অডিশনে গেলাম। তার কিছুদিন বাদে ওরা ফোন করে কনফর্ম করল যে, আই অ্যাম ডুয়িং দ্য শো। সেটাই আমার প্রথম কাজ, ‘কথা দিলাম’। তার পরেই ‘ইচ্ছেনদী’। কখনো যদি মনে হয়, হয়তো পিএইচডি করব, বললেন সোলাঙ্কি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন