চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রফিক হত্যাকান্ড তিন ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২৩ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার-১

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতা রফিক উদ্দিন কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী লায়লা বেগম।

মামলার এজহারনামীয় আসামী নজরুল ইসলাম কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায়, উপজেলার ইছখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরীসহ অন্যান্য আসামীরা হলেন নবীর হোসেন নবী প্রকাশ ট্রাক্টর নবী, হাবিব, মো. আনোয়ার, বাদশা, আনোয়ার, আরিফ মাঈন উদ্দিন, হানিফ, হেলাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোশাররফ, লোকমান, সবুজ, মো. শাহাদাৎ, ফরিদ হোসেন, রাশেদুল আলম, কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ রিপন, করিম শাহ, আবদুল মান্নান, মুসলিম উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরো ২০-৩০জনকে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় এজহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে মিরসরাই অর্থনৈতিক অ লে অবৈধ বালু উত্তোলন, জমি দখল, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলো। আমার স্বামী (রফিক উদ্দিন) আসামীদের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ও প্রতিবাদী ছিলেন। ফলে তাদের টার্গেট এ পরিণত হয় এবং বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি প্রদান করছিলো।

হত্যার এক সপ্তাহ আগে জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তার সাথে ও নবীর হোসেন নবী প্রকাশ ট্রাক্টর নবীর সাথে তর্কবিতর্ক হয়। তারা লোকজড়ো করে আমার স্বামীকে দেখে নেবে বলে হুমকী প্রদান করে। গত ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত ৮টায় সাহেরখালী ইউনিয়নের সুইচগেইট এলাকায় কিছু দুষ্কৃতিকারী মাছচাষীদের মাছের প্রজেক্ট দখল করতে আসার খবর পেয়ে আমার স্বামী (রফিক উদ্দিন) তার সাথে আরো ১২ জন নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।

তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে ১ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় দেড়টায় মিরসরাই অর্থনৈতিক অ লে এসকিউ ইলেক্ট্র্যিাল লিমিটেড নামের কারখানার সামনে জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার, নুরুল মোস্তফা ও কামরুল হায়দার চৌধুরীর নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীগণ তাদের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

তাদের বহনকারী সিএনজি-অটোরিক্সা জ্বালিয়ে দেয়। তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে এলোপাতারী পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রফিক উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এজহারনামীয় আসামী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।