চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ মিললো কূপে

ঢাকা থেকে ১৩ বন্ধুকে নিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান মজুমদার ঘুরতে আসেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায়। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে নিখোঁজ হন ওই শিক্ষার্থী। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ঝরনার কূপে মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।

নিহত সিফাতুরের সাথে ঘুরতে আসা বন্ধুদের মধ্যে অনিক চন্দ্র মহন্ত জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝরনা এলাকায় ঢোকেন। কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে পাহাড়ের একটি স্থানে বন্ধুরা মিলে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করেন। এরপর বেলা ৩টার দিকে সিফাতুর নিখোঁজ হন। পরবর্তী কয়েক ঘন্টা খোঁজার পরও তার খোঁজ না মেলায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং পরে ওইদিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়।

পরদিন বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঝরনার কূপে-ঝোপে জঙ্গলে সবখানে দেখেও উদ্ধার করতে পারেনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সিফাতুরের মরদেহ ঝরনার কূপের পানিতে ভেসে উঠলে বেলা ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

নিহত সিফাতুর রহমান মজুমদার ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে ইউনির্ভাসিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দ্বীপ্তেশ রায় জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সিফাতুরের মরদেহ ফুলে গেছে। মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। আপাদত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

নিহত সিফাতুরের ভাই রিফাত উর রহমান মজুমদার ও মামাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার দাবি করেন, সিফাতুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।