চট্টগ্রামে পিপলস্ অ্যাডাপ্টেশন প্লানস ফর ইনক্লুসিভ ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন, সেইভ দ্যা চিলন্ড্রেন এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা)।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভা হলরুমে পিপলস অ্যাডাপ্টেশন প্লানস ফর ইনক্লুসিভ ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিস প্রকল্পের এক অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে। উক্ত প্রকল্পের অর্থ সহায়তা প্রদান করছে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন, কারিগরি সহায়তায় সেইভ দ্যা চিলড্রেন এবং বাস্তবায়নে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা)।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও মিরসরাই পৌর প্রশাসক প্রশান্ত চক্রবর্তী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মিরসরাই পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কাইউম উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভার অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ চন্দ্র রায়, প্রধান সহকারি সাইফুল ইসলাম, জিসিএ এর প্রতিনিধি রিয়াদাদ হোসাইন, নাসরিন আকতার, ম্যানেজার রেজিরিলিয়েন্স এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ, ইপসার স্যোসাল ভেভেলপমেন্ট এর পরিচালক নাসিম বানু শ্যামলী, প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর-সেইভ দ্যা চিলন্ড্রেন আশফাকুর রহমান আশা, রিসার্চ এন্ড ডকুমেন্টশন অফিসার রাহনুমা নুরাইন তানহার।

প্রজেক্ট অফিসার আমিনুর রহমান, ইপসার ফিল্ড অফিসার জাবেদুর রহমান চৌধুরী, ফজল করিম।ইপসা প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর অরুন দর্শী চাকমার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সকল সরকারী, বেসরকারী দপ্তর প্রধানগণ, পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নিন্ম আয় সম্পন্ন কিছু প্রকল্পের সুবিধাভোগী প্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ নানান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই সকল মানুষ শহর অঞ্ছলে অস্থায়ী আবাসন স্থলে এবং আনাচে-কানাচে বসবাস করে। বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবি, দিনমজুর, রিকশা চালক, কৃষক বা শ্রমিক। তারা বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ হওয়ার কারণে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় নানাভাবে। তারা পানীয় জলের সুবিধা বঞ্চিত হয়।

পয়:নিশ্কাশন সুবিধা নেই, ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ, রাস্তাঘাট ভাঙ্গা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত নেই, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এবং পাশাপাশি নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত থেকে যায় সারাটা জীবন। সরকারী সেবা বা বেসরকারী উন্নয়ন সেবা তাদের কাছে পৌছায় না। জলবায়ুর ক্ষতির প্রভাবে তারাই বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়।

জলবায়ুর ক্ষতির প্রভাবের ফলে সমস্যাগুলোকে চিহিৃত করার জন্য এবং সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য অভিযোজনের ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরী। অথচ নিম্ন আয়ের এসব মানুষের কাছে সরকারী- বেসরকারী উন্নয়ন সেবা পৌছায় না।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মোট বেনিফিশিয়ারিজ হলো: ২১০০ জন। মোট নিম্ন আয়ের পরিবার ১৩৫০টি, কমিউনিটি মবিলাইজার ১৫০ জন, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠির প্রতিনিধি ২৭০ জন, পৌর এলাকার অফিসিয়াল প্রতিনিধি ৪৫ জন, ডিএমসিসি সদস্য ২২৫ জন এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গন্যমান্য ব্যক্তি ৬০ জন।