চট্টগ্রামে সাকার বাড়িতে ছাত্রলীগের হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর
শেখ হাসিনার পরিণতি বাবার চেয়ে করুণ হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রামের বাড়ি বাড়ি গুডস হিলে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগের শ দেড়েক কর্মী।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শ দেড়েক হামলাকারী বাড়িটিতে হানা দেয় বলে জানিয়েছেন ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতার প্রয়াত ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা কাদের চৌধুরী।
সেলিনার বর্ণনা অনুযায়ী, হামলায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ, হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী।
বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীরা বলছেন, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা প্রায় ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও নিরাপত্তা প্রহরীদের বাসাসহ মূল ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
‘প্রায় ৩০-৪০ মিনিটে ভাঙচুর চালানো পর মূল সড়কে এসে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন হামলাকারীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে চক বাজারের দিকে চলে যায়।’
হামলার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই মৃত সাইফুদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী সেলিনা কাদের চৌধুরী বাসায় ছিলেন।
সেলিনা বলেন, ‘দেড়শর মতো লোক অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাসার সামনে রাখা আটটি বিএমডব্লিউ গাড়ি, দুইটি ভক্সি ও ১০টি অন্যান্য গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির চারদিকের সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলেছে হামলাকারীরা।’
‘সন্ত্রাসীরা মূল গেটের কেয়ারটেকার মজিবুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সাইফ আলী নামে বাড়ির এক কর্মচারীর হাত ভেঙে দিয়েছে তারা।’
সেলিনা এই হামলার জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দায়ী করছেন।
অভিযাগ স্বীকার করেছেন সায়েম। তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াস কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
‘গিয়াস কাদের চৌধুরী মঙ্গলবার এক বক্তব্যে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু হবে তার বাবার চেয়েও করুণ। এমন ন্যাক্কারজনক বক্তব্যের প্রতিবাদে আমরা গিয়াস কাদের চৌধুরীকে খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় তাকে না পেয়ে ফিরে আসার সময় আমাদের নেতাকর্মীরা কিছু ভাঙচুর চালায়।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে। কী ঘটনা ঘটেছে আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
১৯৭১ সাল থেকেই চট্টগ্রামের প্রতাপশালী চৌধুরী পরিবারের বড় ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর। এরপর থেকে তার ছোট ভাই গিয়াস কাদের চৌধুরীই পরিবারটির জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীও বাবার মতোই নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসলেও এখন তিনি চুপচাপ হয়ে গেছেন।
২০১৬ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় আদালতপাড়া থেকে উধাও হন হুম্মাম। গত ১ মার্চ রাতে তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে তিনি আর প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আসছেন না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন