চট্টগ্রামে ১৭ টাকার জন্য যুবক খুন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বকেয়া ১৭ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে মাহামুদুল নামক এক যুবককে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৮ মে (মঙ্গলবার) আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মিঠার দোকান নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
ছুনিহত মাহামুদুল হক(৩৩) উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আজিমপুর এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই জিয়াবুল হক গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্খাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছেন।
নিহতের বড় ভাই ছদাহা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাই মাহামুদুল গত জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট ছিল তখন থেকে হত্যাকারীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।আমার ভাই এলাকায় একটি মাছের ফিডের কারখানায় সহকারী হিসাবে কাজ করতো। গত ২৬ মে সে কারখানার পাশে একটি চায়ের দোকানে ১৭টাকা বাকিতে চা খাওয়ার ঘটনায় চায়ের দোকানদার কিশোর গ্যাং সদস্য ফেরদৌসের ছেলে রায়হান(২৩) লোহার রড় নিয়ে আমার ভাইকে মারতে আসে।পরদিন বুধবার স্থানীয় মোহাম্মদ সোলাইমানের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল (২৫), আজিজুল হক রাজামিয়ার ছেলে সোহাগ(২৪), মোহাম্মদ আনিসের ছেলে মোহাম্মদ তাসিফ(১৬) আমার ভাইকে ১৭ টাকার জন্য মারধর করে ছুরিকাঘাতে খুন করে। আমার আরেক ভাইকেও ছুরিকাঘাত করে সেও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, মাছের খাদ্যের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো মাহমুদুল হক।ফাক্টরির সামনের দোকান থেকে চা খেয়ে ১৭ টাকা বাকি রাখে এবং বিকেলে পরিশোধ করে দেওয়ার কথা জানায়।দোকানদার তা না মেনে টাকা পরিশোধ করতে জোর দেওয়ায় ঝগড়ার সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেয়।পরে ঘন্টাখানেক পর কিশোর গ্যাং সোহাগরা হামলার উদ্দেশ্যে মাহমুদুল হককে পাহারা দিয়েও খুঁজে না পেয়ে চলে যায়।পরে আজ দুপুরে দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় অতর্কিতভাবে ৭-১০ জন লোক গিয়ে ছুরিকাঘাত করে।পরে তাকে আশ-শেফা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু ঘটে।স্থানীয় সোলাইমানের ছেলে সাইফুল,চায়ের দোকানদার রায়হান ঘটনার সাথে জড়িত।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রিটন সরকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে হামলা করা হয়।১৭ টাকা নিয়ে সমস্যা হলে উভয়পক্ষের মারামারিতে একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি।
সাবেক এমপির এজেন্ট হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে শত্রুতার অভিযোগ আনা হয়েছে সেখান থেকে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এসব কোন বিষয় নয়,১৭ টাকা নিয়ে সমস্যা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন