চব্বিশের নায়ক খুঁজলে শিবিরকে প্রথম সারিতে পাবেন: কেন্দ্রীয় সভাপতি

শিবিরের একটি প্রাসঙ্গিক সংগঠনের নাম। শিবির সব জায়গায় প্রাসঙ্গিক। যদি আপনি চব্বিশের আন্দোলনে নায়কদের খুঁজেন, আশা করি ছাত্রশিবিরকে প্রথম সারিতে পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০১১ সালে পর থেকে প্রকাশ্যে কোন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পারেনি ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। তবে এবার প্রায় একযুগ পর নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে বিভিন্ন বিভাগের ৯ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, শিবির পরিচ্ছন্ন ও মেধাবীদের সংগঠন। যে শিবির করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য হবে। ছাত্রশিবির রাজনীতি চর্চা করে না। ছাত্রদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়। চব্বিশের আন্দোলন প্রায় ২ হাজার শহীদ ও হাজারো শিক্ষার্থী-জনতার পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়ে সফলতা এসেছে। এই সফতলার মূল স্পিরিট হলো বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা ভোগ করা। এই সফলতার জন্য প্রথম ত্যাগী আবু সাইদ। আমরা সকলেই এই আন্দোলনের সামনে ছিলাম।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, জাতির সামগ্রিক উন্নতিতে কোনো লিডারই কাজ করেনি। আমাদের দাস অনুদাসে করে তোলা হয়েছে। এটা রাষ্ট্রের বড় এক ত্রুটি। এই জায়গা থেকে বের হতে না পারায় যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। এটা জাতির সবচেয়ে বড় সংকট। আর যে সৎ ছিল তাকেই হত্যা করা হয়। তাই এখন নতুনদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জাহেলিয়াত মুক্ত নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে চাই। জালিম সরকার হাসিনার পতনের মত একই কায়দায় নতুন প্রজন্ম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে জানে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ইবি শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় পুলিশের গুলিতে শহীদ আব্দুল্লাহ আল মোস্তাকিমের পিতা লোকমান হোসাইন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ও বায়েটোকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-যশোর শাখার টিম সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলার সাবেক আমির অধ্যক্ষ এ কে এম আলী মহসিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক সোহেল, কুষ্টিয়া শহর শাখার সভাপতি সেলিম রেজা অতিথি ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির ইবি শাখার সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।

স্বাগত বক্তব্যে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে ইবি শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসা বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির নানান চড়াই উৎরাই ও প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়েছে। এই সংগঠন ছাত্র অঙ্গনে বিপ্লব সংগঠনে সমর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থধারার রাজনীতি গঠন সহ বিভিন্ন আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষা শিকার করেছে। এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।