চমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার পাল্টাপাল্টি মামলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে উভয় পক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী বলে পরিচিত।
এ মামলায় আসামিরা হলেন- অভিজিৎ দাশ, মুশফিকুর ইসলাম আরাফ, মো. রিয়াজুল ইসলাম, তৌফিকুর রহমান, সৌমিক বড়ুয়া, আতাউল্লাহ বুখারী, এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন, সুভাষ মল্লিক সবুজ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, রবিউল ইসলাম রাজু, ইয়াসিন আওরাজ ভূঁইয়া রওনক প্রকাশ ভূঁইয়া রনক, মোহাম্মদ হানিফ ও জিয়াউদ্দিন আরমান। আসামিরা সবাই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আরেকটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা। রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- ডা. হাবিবুর রহমান, আল আমিন শিমুল, ডা. ওসমান গণি, ডা. অতন্দ্র আকাশ, ডা. এ এল এন এস শাহরিয়ার, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, সাইফুল আলম লিমন, ফরিদ আহমেদ, সুজয়মান বড়ুয়া জিতু, ওয়াহেদুল আলম শিমুল, আলাউদ্দিন আলো, শাহরিয়ার মো. রাহাতুল ইসলাম, মিনহাজ আরমান লিখন, মাহাদী বিন হাসিম, ডা. তাজওয়ার রহমান অয়ন, পল্লব বিশ্বাস ও মো. ইফরাইন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে একটি শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল ও আরেক পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তারকে গত এক বছরে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সিএমসি ক্যান্টিনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কটূক্তির ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর জের ধরে পরদিন বুধবার থেকে আ জ ম নাছিররের অনুসারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন