‘চলতি বছরেই ইন্টারনেটের দাম হবে গ্রাহকবান্ধব’
গত ১০ বছরে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৭৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে মাত্র ৬৫০ টাকা করা হলেও এর সুফল পায়নি গ্রাহকরা। উল্টো মূল্য নির্ধারণে কোনো নিয়মনীতি না থাকায় কয়েকশ গুণ বেশি দামে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। নেই কাঙ্ক্ষিত গতি। এমন পরিস্থিতিতে, চলতি বছরেই গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটি। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এর দ্বিগুণ। ব্যান্ডউইথের দামের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা। তারপর ১০ দফা কমিয়ে বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৫০ টাকায়। বিটিআরসির হিসেবে বর্তমানে গ্রাহকদের কিলোবাইটপ্রতি গুনতে হচ্ছে ২০০৭ সালের চেয়েও অধিক মূল্য। গতি ও মূল্যের এই কারসাজিতে ইন্টারনেটের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বলা হয় এক জিবি ইন্টারনেটের মেয়াদ সাতদিন। কিন্তু দেখা যায়, এর আগেই টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কোনো নিয়মনীতি না থাকায়, অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য ব্যয়ের অজুহাতে ইন্টারনেটের মূল্যে উচ্চগতি বলে মন্তব্য করেছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। তবে ইন্টারনেট অবকাঠামো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এনটিটিএন অপারেটরদের দাবি, কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা না পাওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের সেবা।
অ্যামটবের মহাসচিব নুরুল কবির বলেন, ‘এখন যে দাম; বলা হচ্ছে ২৬ পয়সায় কিনে ২০০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। আসলে কথাটা সত্য নয়। আমরা পুরো সেবাটা দিতে গিয়ে যে নেটওয়ার্কের যে খরচ, অন্যান্য সবগুলোর যে খরচ তা যোগ করলে তাতে আমাদের যে খরচ হয়, বলা যায় ইন্টারনেট ব্যবসাটা আমাদের জন্য লাভজনক নয়।’
এসব পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।’
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আইটিইউ (ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন ইউনিয়ন) থেকে একজন বিশেষজ্ঞ আনব। তখন বুঝতে পারব কোন অংশের জন্য কত খরচ হচ্ছে। তখন আমরা অবজেকটিভলি একটা দাম নির্ধারণ করতে পারব।’
শাহজাহান মাহমুদ আরো বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। মাস তিনেকের ভেতর তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। তারপর আমাদের আরো মাসতিনেক লাগতে পারে। তারপর আমাদের হয়তো আরো মাসখানেকের মতো লাগতে পারে। তখন আমরা ওই বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।’
আগামীতে গ্রাহক স্বার্থপরিপন্থী কোনো কিছু এই শিল্পে কাউকে করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান শাহজাহান মাহমুদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন