চলতি মাসেই বিশ্বে জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি

চলতি মাসেই বিশ্বে জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি
একটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে বিশ্ব জনসংখ্যা। চলতি মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর নাগাদ বিশ্বব্যাপী মানব জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নে (৮০০ কোটি) পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর ফলে আগামী দশকগুলোতে বাড়তে থাকবে আঞ্চলিক বৈষম্য। এছাড়া বৈশ্বিক শ্রম বাজার ও জাতীয় পেনশন পদ্ধতির ওপরও প্রভাব পড়বে।

জাতিসংঘের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪ বিলিয়ন। অর্ধ শতাব্দীরও কম সময়ে দ্বিগুণ হলো এ সংখ্যা। তবে বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা অনুসারে খুব শীঘ্রই মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) মতে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা ২০৬৪ সালের মধ্যে সর্বাধিক বৃদ্ধি পাবে, তবে তা ১০ বিলিয়নে পৌঁছাবে না এবং ২১০০ সালের মধ্যে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়নে নেমে আসবে। এর ফলে ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা হতে পারে পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে ভারত ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে, এমনটাই বলছে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট-২০২২। চীনের ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা শেষ পর্যন্ত হ্রাস পেতে শুরু করবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা ১ দশমিক ৩ বিলিয়নে নেমে আসবে। শতাব্দীর শেষ নাগাদ, চীনে জনসংখ্যা মাত্র ৮০০ মিলিয়নে নেমে যেতে পারে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এসময় বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে আসার প্রশংসা করেন তিনি।

কানেম আরও বলেন, আমি বুঝতে পারছি, সবাই এটিকে উদ্‌যাপন নাও করতে পারে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন, এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এই সংখ্যা কোনো ভয়ের কারণ নয়।

রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বলেন, আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমরা কি অনেক বেশি হয়ে গেলাম? আমি তেমনটা মনে করি না।

২০৫০ সালে ভারত ও চীনের পর তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।