চলতি মাসেই মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২৬ জুন বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ২৫ জুন দু’দিনের ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন তিনি।
২৬ তারিখে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক তাঁর। গত সপ্তাহেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে এ মাসের শেষেই মোদির মার্কিন সফরের কথা জানানো হয়। সোমবার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেছেন, ‘ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাতে এই বৈঠক কার্যকর হবে। ’ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ এবং পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
এ বছর ২০ জানুয়ারি ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে মোট তিনবার মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তবে এই প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে চলেছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে এ মাসের শুরুতেই ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। কয়েকশ’ কোটি ডলার বিদেশি সাহায্যের লোভে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত এবং চীনের মতো দেশগুলি। দিব্যি এই চুক্তি থেকে ফায়দা লুটছে তারা। কিন্তু বোঝা বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ’
অন্য দেশগুলির চাপে পড়ে ভারত এই চুক্তি স্বাক্ষর করে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি। তাঁর এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। অভিযোগের জবাবে বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধারণা একেবারেই ভুল। শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যের জন্য জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর করেনি ভারত। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই উদ্যোগী হয়েছি আমরা। ’
শুরু থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ভারত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের কটাক্ষ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
বারাক ওবামার আমলে মার্কিন দেশের সঙ্গে ভারতের দহরম মহরম ছিল। বারাক ওবামার সঙ্গে মোট আট বার দেখা করেছিলেন মোদি। ট্রাম্প জমানাতেও সেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষপাতী প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এইচ-ওয়ানবি ভিসা নীতির খাঁড়াও ঝুলছে। একটু এদিক ওদিক হলেই সেখানে কর্মরত ভারতীয়রা বিপদে পড়তে পারেন। এ ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনকে অবশ্য আগে থেকেই হঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ট্রাম্পের ভিসা নীতির জেরে সেখানকার ভারতীয়রা সংস্থাগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ভারতে ব্যবসা করতে আসা মার্কিন সংস্থাগুলির ওপরও প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন।
এপ্রিল মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচআর ম্যাকমাস্টার। সন্ত্রাস দমন ও সামরিক ক্ষেত্রে ভারতকে আমেরিকার সহযোগী দেশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র: আজকাল
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন