চলনবিলে চলছে মাছ ধরার ‘বাউত উৎসব’
পাবনার চাটমোহরসহ ঐতিহ্যবাহী চলনবিল অঞ্চলে চলছে মাছ ধরার মহা উৎসব। চাটমোহর উপজেলার রামের বিল, খলিশাগাড়ি বিল, ডিকশী বিল, বিল কুড়ালিয়া, গুমাণী ও চিকনাই নদী ভাঙ্গুড়া উপজেলার রহুল বিলসহ বিভিন্ন বিলে চলছে এই উৎসব। চলনবিল অঞ্চলের ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় “বাউত উৎসব”।
সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার নির্দিষ্ট একটি বিলে বাউত নামে। বিভিন্ন উপজেলার শত শত মানুষ ভোর হতেই নানা যানবাহনে মাছ ধরার হরেক রকম উপকরণ নিয়ে হাজির হয় বিলে। হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে করতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম নিয়ে নেমে পড়ে বিলের শীতল পানিতে। শত শত সৌখিন মৎস্য শিকারীর হাতে হাতে পলো। এছাড়া নানা রকমের জাল দিয়েও মাছ ধরা হয়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত মাছ ধরার এই উৎসবে যোগ দেয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের রামের বিলে নামে বাউত। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ, গুরুদাসপুর উপজেলার কয়েক শত মানুষ নেমে পড়ে বিলে। বিগত দিনে ডিকশী বিল ও খলিশাগাড়ি বিলেও বাউত নেমে মাছ ধরেছে।
আগামী দুই সপ্তাহ এই মাছ ধরার উৎসব চলবে বলে জানান চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান। বাউতে আসা আটঘরিয়ার সৌখিন মৎস্য শিকারী আলাউদ্দিন ও মোমিন জানান, এই মাছ ধরা উৎসবে বোয়াল, শোল, রুই, কাতলা ছাড়াও হরেক রকম দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছরই চলনবিল অঞ্চলে নদী ও বিলে আগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে বাউত নামে। এদিকে বাউত উৎসবের কারণে বিলের জীব বৈচিত্র্য চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। বিলের অসংখ্য ছোট মাছ মারা যাচ্ছে।
চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান আরো জানান, বাউত উৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এতে বিলে জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারীভাবে গণসচেতনতা বাড়ানো দরকার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন