চলন্ত ট্রেনের টয়লেটে সন্তান প্রসব নারীর

চলন্ত ট্রেনের টয়লেটে সন্তান প্রসব করেছেন এক ভারতীয় নারী। বেঙ্গালুরু থেকে আসামগামী ওই ট্রেনে হঠাৎ প্রসব ব্যথা শুরু হলে বাধ্য হয়ে তাকে টয়লেটে নিয়ে যান ওই নারীর স্বামী। এসময় ট্রেনের নারী যাত্রীদের সহযোগিতায় সন্তান প্রসব করেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট স্টেশনে। এসময় প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড় করানো হয় ওই এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে শিশুর চিকিৎসা শেষে ডাক্তাররা নিশ্চিত হওয়ার পরই ট্রেন ফের অাসামের দিকে রওনা দেয়।

বুধবার রাতে রামপুরহাট স্টেশনের এই ঘটনায় চালক ও রেলকর্মীদের ভূমিকা রাজ্য জড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

জানা গেছে, আপ ২২৫০১ বেঙ্গালুরু-তিনসুকিয়া এক্সপ্রেসের মধ্যেই সন্তান প্রসব করেন আসামের এক গৃহবধূ। জন্মের পর শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফোনে আরপিএফ সেই খবর পেয়ে চিকিৎসককে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করে। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটি এসে পৌঁছায়।

এস-নাইন কামরায় থাকা শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন এস ভাওয়াল ও তাঁর সঙ্গীরা। শিশুর পাশাপাশি তার মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

রামপুরহাট আরপিএফ কর্মকর্তা এ মজির জানান, গৃহবধূ বাসিরুন বেগম গর্ভবতী অবস্থায় মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে অাসামে ফিরছিলেন। আসামের দলগাঁওয়ের পদ্মাগুড়িতে তাদের বাড়ি। ট্রেনের মধ্যে ওই বধূর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী হাবিবুর রহমান। পেশায় দিনমজুর হাবিবুর তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের জন্য দেশবাড়িতে ফিরছিলেন।

ট্রেনের মধ্যে স্ত্রীর আচমকা প্রসবযন্ত্রনা ওঠায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেন হাবিবুর। সেই সময় ওই কোচে থাকা কয়েকজন মহিলা বাসিরুনকে নিয়ে শৌচাগারের কাছে নিয়ে যান। তাঁদের সহযোগিতায় পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। হাবিবুরের বক্তব্য, ‘‘স্ত্রীর প্রসবযন্ত্রনা উঠতেই কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকের কাছে গিয়ে চিকিৎসকের খোঁজ করি। কিন্তু পাওয়া যায়নি। কামরার মহিলারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে বড় বিপদ হয়ে যেত। ’’